সাম্য হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

183

গাইবান্ধা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : জেলার গোবিন্দগঞ্জের চাঞ্চল্যকর মেয়রপুত্র স্কুল ছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ৮ জনের ৫ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক।
আজ বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিনি এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশে দন্ডিতরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বর্ধনকুঠি বটতলা এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে শাহারিয়ার সরকার হৃদয়, একই উপজেলার তাগদরিয়া এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে রকিবুল হাসান সজিব, একই উপজেলার নাচাই কোচাই এলাকার মৃত. আহসান হাবীব বকুলের ছেলে মাহমুদুল হাসান জাকির। এদের মধ্যে হৃদয় ও জাকির নিহত সাম্যর সহপাঠি।
গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের একমাত্র ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে অপহরণ হয়। স্কুল ছাত্র সাম্য নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে গোবিন্দগঞ্জ শহরের বর্ধনকুঠি বটতলা মোড় এলাকার কমিউনিটি সেন্টারের পেছনের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। হত্যার ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ড এর তৎকালীন কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনকে প্রধান আসামী করে সাম্যের সহপাঠিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন সাম্যর বাবা। পরে এই মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১১ মার্চ পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম জানান, বিচারক তার রায়ে বলেন মামলার ওই তিন আসামী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রত্যেককে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হল। এই দন্ডাদেশ উক্ত তিন আসামীকে আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার আদেশ দেয়া হয়। গত ৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করে আদালত। এ মামলায় আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি হয়। প্রায় সাড়ে চারবছর মামলার বিচার কার্যক্রমে গোবিন্দগঞ্জের নিম্ন আদালতে ৪০ দিন ও জেলা জজ আদালতে ১৭ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রায় প্রদানকালে আদালতে ১১ আসামী উপস্থিত ছিলেন।
মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরে পরিকল্পিতভাবে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সাম্যকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়।