বাজিস-৫ : ‘ভোলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট’ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে

164

বাজিস-৫
ভোলা-টেক্সটাইল-ইন্সটিটিউট-নির্মাণ
‘ভোলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট’ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে
ভোলা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : জেলার উপজেলা সদরে ‘ভোলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট’ এর জন্য ভবন নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যে পকল্পের ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট এলাকায় ৫ একর জমির উপর এর নির্মাণ কাজ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে শুরু করা হয়। কারিগরী শিক্ষার প্রসারে বস্ত্র¿ ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি’র অবকাঠামোগত কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্প’র কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এটি বাস্তবায়ন হলে দ্বীপ জেলায় কারিগরী শিক্ষার মান বৃদ্ধিসহ সার্বিক অবস্থার পরিবর্তন সাধিত হবে। একইসাথে কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে এখানে বৃহৎ আকারের ৮টি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া ছোট আরো ৫টি স্থাপনার মধ্যে ২টির কাজ শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন বাসস’কে জানান, এখানে মূলত টেক্সটাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপরে লেখা পড়া করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। চলমান ৮টি ভবন নির্মাণের মধ্যে ৪তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। ৬ তলার ছেলেদের হোস্টেল নির্মাণ কাজ হয়েছে ৯০ ভাগ। ৬ তলা ফিমেল হোস্টেল হয়েছে ৮০ ভাগ।
প্রকৌশলী সরোয়ার আরো জানান, এখানে অফিসার্স কোয়ার্টার হচ্ছে ৬ তলা। এটার কাজ শেষ হয়েছে ৯০ ভাগ। ৪ তলা স্টাফ কোয়ার্টার ৯০ ভাগ। কর্টন স্পিনিং শেড হচ্ছে ৪ তলা বিশিষ্ট। এটা হয়েছে ৭০ ভাগ এবং উইমিং এন্ড ডাইয়িং শেড এর কাজ হয়েছে ৬৫ ভাগ। এছাড়া ছোট স্থাপনার মধ্যে জুট শেড ও মিটিং শেডের কাজ শুরু হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলী কাজী শরিফউদ্দিন আহমেদ বাসস’কে বলেন, নির্মাণাধীন ৮টি ভবনের পাশাপাশি ২ তলা বিশিষ্ট প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, ২ তলার ওয়র্কশপ কাম লাইব্রেরী, ২ তলা বিশিষ্ট মিটিং শেড, জুট শেড ও একটি শহীদ মিনার’র কাজ হবে। এছাড়া ইনস্টিটিউটের জন্য আরো কিছু স্থপনা নির্মিত হবে।
তিনি আরো বলেন, কাজের গুণগত মান শতভাগ বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে। ভবন নির্মাণ শেষে প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে এ অঞ্চলে কারিগরী শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে। প্রাথমিকভাবে ইনস্টিটিউটের জন্য ভবন নির্মাণ কেন্দ্রীক কাজগুলো গণপূর্তের মাধ্যমে করা হলেও পরবর্তিতে টেকনিক্যাল সার্পোট সংক্রান্ত কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমীন জাহাঙ্গীর মনে করেন, বর্তমানে দেশের বস্ত্রখাত একটি সম্ভাবনময় খাত। এ খাতে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভানা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি। তাই এ ইনস্টিটিউটটি চালু হলে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এ অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা কারিগরী শিক্ষায় তাদের মেধার অবদান রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, ভোলাতে একটি পলিটেকনিক কলেজ থাকলেও কোন ইঞ্জিনিয়রিং কলেজ নেই। ফলে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবিও পূরণ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
বাসস/এইচএএম/১৩২৫/নূসী