বাসস দেশ-৯ : স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারীদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে : আমু

111

বাসস দেশ-৯
১৪দল-মতবিনিময়
স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারীদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে : আমু
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করে এবং বাংলাদেশকে মানে না তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, যারা সব সময় স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করে, বাংলাদেশকে মানে না তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যে জোয়ারের সৃষ্টি হবে তার মাধ্যমে বিএনপি-জামাতের মত অপশক্তিগুলো একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যারা পালন করেনা তারা স্বাধীনতার বিরোধীশক্তি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, ভারতের মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকীতে বিজেপি বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। জাতির পিতার কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্ধ ছিল না। অথচ আমাদের জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে বিএনপি এবং জামাতের কোনো কর্মসূচি নেই।
তিনি বলেন, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা পূর্ব রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় একজন রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে কেমন ছিলেন, শাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা কেমন ছিল এগুলো আমরা আলোচনা করি না।
বঙ্গবন্ধু একজন ভালো শাসক ছিলেন জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, সমুদ্রসীমা নিয়ে বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই চিন্তা করেছিলেন। এ বিষয়টি নিয়ে অন্য কারো চিন্তা ছিল না। কৃষকদের জন্য তিনি ভূমি সংস্কার এবং সমবায়ের মতো শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এমনিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য তিনি দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এই দিক নির্দেশনাগুলো তুলে ধরলেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে বঙ্গবন্ধু কেমন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মুজিব বর্ষে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির পরাজয় হতে পারে না। জাতির পিতা এসেছিলেন বলেই আমাদের নতুন করে স্বাধীন বাংলাদেশে পুনর্জন্ম হয়েছিল। তাই হাজার বছর ধরে বাঙ্গালী জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এ সময়ে তিনি আগামী ১৭মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় সারাদেশে মোমবাতি প্রজ্জলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঐদিন সন্ধ্যা ৬ টায় মানিকমিয়া এভিনিউতে মোমবাতি প্রজ্জলন করে ধানমন্ডি ৩২নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাধী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, গণতন্ত্রীপার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/১৬১০/শআ