বাসস দেশ-২ : আবরার হত্যা মামলা : অভিযোগপত্র গ্রহণ ২১ জানুয়ারি

123

বাসস দেশ-২
আবরার মামলা-অভিযোগপত্র গ্রহণ
আবরার হত্যা মামলা : অভিযোগপত্র গ্রহণ ২১ জানুয়ারি
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস): বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালতের সেরেস্তাদার রাশেদুল ইসলাম ও হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলা বদলির আদেশ দেন। এদিন পলাতক অসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়। মহানগর আদালতে মামলাটির পরবর্তী বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
এরআগে পালিয়ে থাকা এজাহারভুক্ত আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলাম রোববার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে এই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর ওই চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিরা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন এজাহারভুক্ত।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভূক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভুত ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভুত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট জন।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে বুয়েট’র শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদি হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৪৫৫/কেএআর