সরকার নারী নির্যাতনের ঘটনাকে বিচারহীন অবস্থায় রেখে দিতে চায় না : আইনমন্ত্রী

205

ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচারের বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। তিনি বলেন,‘বর্তমান সরকার ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের অন্যান্য ঘটনাকে কোনভাবেই বিচারহীন অবস্থায় রেখে দিতে চায় না এবং রেখে দিবে না।’ আইন মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার মনিপুরি পাড়াস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র (এমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক-২০২০’ শীর্ষক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার সম্পর্কিত সরকারের অনেক অর্জন/সাফল্য রয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন,এসব অর্জন সত্বেও নারী নির্যাতন বন্ধের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ এসব সংস্থা ও সংগঠন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক কাজ করছে। আইন মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির সাথে মানবাধিকার অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়তি। সেজন্য সরকার সকল উন্নয়নের প্রয়াসে মানবাধকিার ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে আসছে।
তিনি আশা করেন,‘সমাজের সকল স্তরের জনগণের সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপগুলো অধিক ফলপ্রসু হবে এবং আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা।’
এমজেএফ’র গভর্নিং বোডের সদস্য পারভীন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এডভোকেট সুলতানা কামাল, ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জুডিথ হার্বাটসন, ঢাকাস্থ সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্রিসটিন জোহানসন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে. এম. আব্দুস সালাম, এমজেএফ’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মানবাধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এমন নিভৃতচারী ১০ জন মানবাধিকার কর্মীকে এ অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ বছর ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক’ প্রাপ্তরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার বেলী বেগম, দিনাজপুর জেলার মোছাঃ রেহানা বেগম, মালতী রানী, কুষ্টিয়া জেলার মোছাঃ সালেহা বেগম, মোছাঃ হালিমা খাতুন এবং মোছাঃ নুরজাহান বেগম, সিরাজগঞ্জ জেলার মোঃ খায়রুজ্জামান মুন্নু, কিশোরগঞ্জ জেলার আনোয়ারা বেগম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার মোঃ হেদায়তুল আজিজ (মুন্না) এবং খাগড়াছড়ি জেলার চঞ্চল কান্তি চাকমা।