বাসস দেশ-২৫ : বরগুনার রিফাত হত্যা মামলায় পৃথক আদালতে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

152

বাসস দেশ-২৫
রিফাত মামলা-সাক্ষ্য গ্রহণ
বরগুনার রিফাত হত্যা মামলায় পৃথক আদালতে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
বরগুনা, ১৪ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বরগুনার শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আজ পৃথক আদালতে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
এ মামলায় আজ মঙ্গলবার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে নিহত রিফাতের দুই চাচাসহ তিন জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
এদিকে বরগুনার শিশু আদালতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে নিহত রিফাতের মা ডেইজি বেগম ও চাচাতো বোন নুসরাত জাহান অনন্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ তিন আসামি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও মো. সাগরের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছে। মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে মিন্নি তার বাবার সঙ্গে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যায়।
এছাড়া এ মামলার দুই আসামি আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন এবং মো. সাগরকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে বরগুনা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে থাকায় তারা আদালতের আদেশে বরগুনা জেলা কারাগারের ভেতরে পরীক্ষায় অংশ নেয় ।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক। নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের আদেশে এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে মারুফ মল্লিক এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ জামিনে রয়েছে। এছাড়া বাকি আসামিরা কারাগারে।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৯১২/শআ