বাসস দেশ-৩৭ : ‘আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণের ব্যবহার’ শীর্ষক চার দিনব্যাপি কর্মশালা শুরু

225

বাসস দেশ-৩৭
ডিজিটাল – কর্মশালা
‘আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণের ব্যবহার’ শীর্ষক চার দিনব্যাপি কর্মশালা শুরু
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও ব্রিটিশ হাই-কমিশনের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের উদ্যোগে ‘আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণের ব্যবহার’ শীর্ষক চার দিনব্যাপি এক কর্মশালা আজ থেকে শুরু হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর গুলশানস্থ ‘হোটেল ওয়েস্টিনে’ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ও ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট সি ডিকসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয, এ কর্মশালা পরিচালনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন ফেডারেল বিচারক ও তিনজন ফেডারেল কৌসুলি, যুক্তরাজ্যের ফৌজদারি বিচার বিষয়ক একজন উপদেষ্টা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের একজন অধ্যাপক।
বর্তমানে বিশেষ পরিস্থিতিতে ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণ অনুমোদিত-এমন কিছু ট্রাইব্যুনাল থেকে আমন্ত্রিতরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন। এরমধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল, সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এবং পরিকল্পনাধীন মানবপাচার বিরোধী ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন অনুযায়ি বিচারক ও কৌসুলিরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন সেগুলো সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পেতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও এ কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন।
এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন,বিচারকাজে ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের আদালত মহলে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন,এটি কৌসুলি এবং বিচারকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্যপ্রমাণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি দ্রুত অপরাধের বিচার করতে সহায়ক হবে এবং মামলাজট কমাবে।
আগামী ১৬ জানুয়ারি এ কর্মশালা শেষ হবে।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণের বর্ধিত ব্যবহারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, যথাযথভাবে ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণের ব্যবহার হলে এটি বিচার প্রশাসনের দক্ষতা এবং সততা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২০৩০/জেহক