বাসস দেশ-২৫ (লিড) : ঢাকায় এনু ও রূপনের ২২টি বাড়ি এবং ১৯ কোটি টাকার সন্ধান : সিআইডি

100

বাসস দেশ-২৫ (লিড)
সিআইডি-সংবাদ সম্মেলন
ঢাকায় এনু ও রূপনের ২২টি বাড়ি এবং ১৯ কোটি টাকার সন্ধান : সিআইডি
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০(বাসস) :ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার ২২টি বাড়ি, পাঁচটি গাড়ি এবং ৯১টি ব্যাংক হিসেবে ১৯ কোটি টাকার কাগজপত্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির ডিআইজি (অর্গাইজড ক্রাইম) ইমতিয়াজ আহমেদ আজ দুপুরে নগরীর সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিআইডি’র একটি দল সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় নগদ ৪০লাখ টাকা, ১২টি মোবাইল ফোন, বাড়ির দলিলপত্র এবং ব্যাংকের কাগজপত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে পুরান ঢাকার ২২টি বাড়ির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র এবং ৯১টি ব্যাংক হিসেবে ১৯ কোটি টাকার কাগজপত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করা আছে।
সিআইডির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া অভিযানে ক্যাসিনোর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও অর্থ জব্দের পর তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে নয়টি মামলা হয়, সেগুলো তদন্তের ভার সিআইডিকে দেয়া হয়। নয়টির মধ্যে চারটি মামলার এজাহারেই গেন্ডারিয়ার এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়ার নাম অর্ন্তভুক্তছিল। মামলা তদন্ত চলাকালে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয় এবং আজ সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জে তাদের এক সহযোগীর বাড়ি থেকে দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সিআইডির তদন্ত ও তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দুই ভাইয়ের সম্পত্তির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এই দুজনের মোট ২২টি বাড়ি রয়েছে, যার অধিকাংশই পুরান ঢাকায়। প্রত্যেকটি বাড়ি ৫ থেকে ৮ তলা বিশিষ্ট ভবন। এছাড়া ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৯১টি অ্যাকাউন্টে তাদের মোট ১৯ কোটি টাকা জমা রয়েছে। ব্যক্তিগত পাঁচটি গাড়িও রয়েছে দুই ভাইয়ের। রিমান্ডে নিয়ে দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য জানা যাবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যখন তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়, তারা তা আঁচ করতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে কক্সবাজার চলে যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মালয়েশিয়া পালিয়ে যাবেন। তবে ওই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারা নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এজন্য তারা ঢাকায় এসে কেরানীগঞ্জে মোস্তফা নামের এক সহযোগীর বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে তাদের ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল । এ জন্য তারা নগদ ৪০ লাখ টাকা সাথে রেখেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, নেপালিদের মাধ্যমে তারা ক্যাসিনোর সরঞ্জাম বাংলাদেশে এনেছে বলে সিআইডি তদন্তে পেয়েছে। এনামুল ওয়ান্ডারর্স ক্লাবের পরিচালক ছিল।
সিআইডির ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের শুরুর দিকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এনু,রুপন ও তাদের দুই সহযোগীর বাসা থেকে ৫ কোটির বেশি টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণ (৭০০ ভরি) ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় ৭টি মামলা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে মানি লন্ডারিং আইনের চারটি মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
বাসস/এএসজি/এমএমবি/১৯১৫/এইচএন