বাসস দেশ-১৭ : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সিএমএম আদালতে নথি প্রেরণ

94

বাসস দেশ-১৭
আবরার হত্যা-বিচার শুরু
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সিএমএম আদালতে নথি প্রেরণ
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা বিচারের জন্য সিএমএম আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম-এর আদালত। মামলার বিচার শুরু করতে আজ সোমবার এ আদেশ দেন তিনি। চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ এ মামলার পলাতক অসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় বলে প্রতিবেদন দাখিল হওয়ার পর এ মামলা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির জন্য সিএমএম বরাবর নথি প্রেরণ করা হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটির পরবর্তী বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
এরআগে রোববার এজহারভুক্ত আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলাম আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় গত ৫ জানুয়ারি চার পলাতক শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আজ এ বিষয় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এরআগে ১৮ নভেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম। গত ৩ ডিসেম্বর এ মামলায় ওই চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে, এ সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন এজহারভুক্ত।
গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভূক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত ছয়জন। এজহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদি হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় এ হত্যা মামলা করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৭৩৫/কেএমকে