বাসস দেশ-১৬ : প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১২ ফেব্রুয়ারি

91

বাসস দেশ-১৬
প্রিন্স মুসা-প্রতিবেদন
প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১২ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের অভিযোগে করা মামলায় মুসা বিন শমসেরের (প্রিন্স মুসা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্র্তী দিন ধার্য করেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ রকিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা রেঞ্জ রোভার গাড়ি ভোলা বিআরটিএর কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। তার বিরুদ্ধে ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ‘ভুয়া বিল অব এন্ট্রি’ প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশনের অভিযোগ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গাড়িতে দুই কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ককরাদি জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্স মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। কিন্তু তিনি ওই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।
২০১৭ সালের ২১ মার্চ প্রিন্স মুসার গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি জব্দ করে। পরে ঢাকা কাস্টম হাউসে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। একই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়।
ওই বছরের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৭০০/এএএ