শাদাবের হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৪ রান

177

ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর পাকিস্তানী শাদাব খানের হাফ সেঞ্চুরিতে সম্মানজনক স্কোর গড়তে সক্ষম হয়েছে ঢাকা প্লাটুন। স্কোর বোর্ডে ৬০ রানেই সাত উইকেট হারায় ঢাকা প্লাটুন। কিন্তু সাত নম্বরে নেমে ৪১ বলে অনবদ্য ৬৪ রানের ইনিংস খেলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সম্মানজনক স্কোর গড়তে পেরেছে ঢাকা প্লাটুন। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। ফলে ম্যাচ জিততে ১৪৫ রানের টার্গেট পেল চট্টগ্রাম।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হাতে ১৪টি সেলাই নিয়েই এ ম্যাচে খেলতে নামেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাশের খেলাতেও উজ্জীবিত হতে পারেননি ঢাকার উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা। চট্টগ্রাম বোলারদের তোপে ৬০ রানে ঢাকার সাত ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরেন।
তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চট্টগ্রামের পেসার রুবেল হোসেনকে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ৩ রান করা তামিম। এরপর ক্রিজে আরেক ওপেনার মোমিনুল হকে সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। তবে রান তোলার কাজটা করছিলেন মোমিনুল। উইকেট সেট হবার পরিকল্পনায় ছিলেন বিজয়। কিন্তু পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে বিদায় নিতে হয় তাকে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেন এনামুল। তিনি শিকার হন স্পিনার নাসুম আহমেদের।
এনামুলের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে ঢাকার মিডল-অর্ডার। ইংল্যান্ডের লুইস রিসিকে শুন্য রানেফেরান চট্টগ্রামের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান ৭ ও জাকের আলি শুন্য রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রায়াদ এমরিতের ও পাকিস্তানের আসিফ আলি ৫ রানে নাসুমের শিকার হন। অর্থাৎ ৩৩ রানে ৬ উইকেট পতন হয় ঢাকার।
অষ্টম উইকেটে শ্রীলংকার থিসারা পেরেরাকে নিয়ে মারমুখী ব্যাট করেন পাকিস্তানের  শাদাব। ৩৩ বলে ৪৪ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে ১৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ রান করেন পেরেরা। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১০৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেন পেরেরা। এ অবস্থায় ঢাকার রান কত যায় সেটিই দেখার বিষয় ছিলো। কিন্তু পেরেরার বিদায়ে মাশরাফির ব্যাট হাতে নামায় পুরো স্পটলাইট ছিলো অধিনায়কের উপর। কারন ১৪টি সেলাই নিয়ে ব্যাট করাটা কঠিনই। তারপরও ২ বল খেলেছেন তিনি। একবার হাত চেপেও ধরেছিলেন ম্যাশ। কিন্তু শাদাবকে স্ট্রাইক দেয়ার চেষ্টা করেছেন মাশরাফি। স্ট্রাইক পেরে ১৯তম ওভারে চট্টগ্রামের পেসার মেহেদি হাসানকে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন শাদাব। ঐ ওভার থেকে ১৬ রান পায় ঢাকা।
শেষ ওভারে জিয়াউর রহমানের প্রথম দুই ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শাদাব। চতুর্থ ডেলিভারিতে নো-বলে ছক্কাও মারেন শাদাব। আর শেষ তিন বলে ২করে ৬ রান নেন শাদাব। ফলে শেষ ওভারে ২৩ রান তুলে সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করাতে পারে ঢাকা। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন শাদাব। চট্টগ্রামের এমরিত ৩টি, রুবেল-নাসুম ২টি করে উইকেট নেন।