বাসস দেশ-২১ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

99

বাসস দেশ-২১
জাবি-দিবস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
ঢাকা, ১২ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে আজ রোববার (১২জানুয়ারি) ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ পালিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০০০ সাল থেকে দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে করে আসছে।
১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি ১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান-এই চারটি বিভাগে ভর্তিকৃত (প্রথম ব্যাচে) ১৫০জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ।
দিবসটি পালন উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় । বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে রোববার সকাল দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপাচার্য সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সমান বয়সী এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় বহুমূখী সাফল্য অর্জনের অধিকারী হয়েছে। দেশ-বিদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ মান সম্পন্ন গবেষণা এবং উচ্চপদে আসীন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগেরও আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকতা ও কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।
আনন্দ শোভাযাত্রার পর সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এরপর পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ খানের পরিচালনায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্য প্রদর্শনী, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘রঙ্গন মাইম একাডেমি’ পরিবেশিত মূকাভিনয় : হৃদয়ে বাংলাদেশ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং সর্বশেষে ‘নকশীকাঁথা ব্যান্ডের’ সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৬৫০/কেজিএ