বাসস ক্রীড়া-১৪ : পরিপক্কতা বাড়ায় ধারাবাহিক লিটন

241

বাসস ক্রীড়া-১৪
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু বিপিএল
পরিপক্কতা বাড়ায় ধারাবাহিক লিটন
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : বিবাহিত জীবন নিজকে পরিপক্ক করেছে বলে দাবী করলেন বাংলাদেশের ডান-হাতি ব্যাটসম্যান লিটন দাস। গেল বছরের ২৭ জুলাই দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিয়ের পরই ম্যাচুউরিটি লেভেল বেড়েছে লিটনের। আজ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের লিগ পর্বের ৪১তম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে এ কথা বলেন রাজশাহী রয়্যালসের এই ওপেনার।
তিনি বলেন, ‘বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তো আছেই আমার। তবে আমি খুব লাকি যে, কম বয়সে বিয়ে করতে পেরেছি। বিয়েটা আমার ম্যাচুউরিটি লেভেল বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আমি ফিল করি। জানি না কে, কিভাবে ফিল করে। তবে আমি এমনটাই ফিল করছি। আমি যখন ১৬-১ মৌসুমে খারাপ ক্রিকেট খেলেছি, তখন জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম। আমি কিন্তু অফ-ফর্মে থাকিনি। ওই জায়গায় আমি অনেক কিছু শিখেছি। ঠেকেছি প্লাস শিখেছি। ওটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আবার বিয়ের পর আবার ম্যাচুউরিটি লেভেল বেড়েছে। সেটা ক্রিকেট মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে হোক। সবকিছুতেই বেড়েছে।’
বিয়ের পর ম্যাচুউরিটি লেভেল বেড়ে যাবার কারনও প্রমাণ হিসেবে খুলে বলেন লিটন, ‘আমার তো একটাই প্রসেস অনুশীলনে যা করি তা কোনো সময় হয়, কোনো সময় হয় না। এবার হয়তো হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ- ম্যাচুউরিটি লাগবে। আমি এর আগে যে কয়েকটি বিপিএল খেলেছি, মারলে মারতেই থাকতাম। আমার পরিকল্পনা থাকতো, আমি সব ধরনের শট খেলতে পারি তাই সব শট খেলবো। কিন্তু এই বিপিএলে আমি অনেক শট কমিয়ে দিয়েছি। আগের দুই-তিন বিপিএলে হয়তো আমার ১৫ বলে ২৭ বা ৩০ রান থাকত। তখন আউট হয়ে যেতাম। কিন্তু এ বিপিএলে দেখবেন ম্যাক্সিমাম রান আমার ১৫ বলে ১৭ বা ১৩। ওই জায়গাটায় আমি হয়তো নরম্যাল ক্রিকেট খেলছি। পাওয়ার পে¬’তে অবশ্য বোলাররা ব্যাকফুটে থাকে সব সময়। আমি যদি একটা চার মারি পরের বলে বোলাররা কি করবে তা একবার হলেও চিন্তা করতে পারে। এখানে নিজেকে একটু ব্যাক করার চিন্তা করছি। তাই সব ধরনের শট খেলা বাদ দিয়েছি। বেছে বেছে খেলছি। আমি বললাম না একটা বোলার মারের পর আরেকটা বাজে বল দিচ্ছে তাই আমাকে বেশি কিছু করতে হচ্ছে না। তাই রান পাওয়া সমস্যা হচ্ছে না।
পরিপক্কতার কারণে ব্যাটিংয়ে পরিবর্তনও এনেছেন লিটন। তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং-এ আমার ফুট মুভমেন্ট একটু পরিবর্তন হয়েছে। আমি আগে এভাবে ব্যাটিং করতাম না। নিল ম্যাকেঞ্জির সাথে অনেক দিন হলো কাজ করছি। কাজের কারণে একটু পরিবর্তন হয়েছে। ফুট মুভমেন্ট মূলত হেড কোচের সঙ্গে আমার চেঞ্জ হয়েছে। আমি দুই-তিনটা ম্যাচেও আমার হেড কমে যাচ্ছে। সেখানে এখনও কাজ করছি। হেডটা যেন না কমে।’
রাজশাহীর হয়ে আফিফ হোসেনের সাথে ইনিংস শুরু করছেন লিটন। আফিফের সাথে ইনিংসের শুরুটা উপভোগ করছেন তিনি, ‘আফিফের সঙ্গে ব্যাটিং করে মজা পাচ্ছি। সত্য কথা বলতে যে টি-২০তে একটা জিনিস আছে না প্রেসার কম একটু অ্যাটাক করতেই হয়। একটু মারতে হবে রিক্স নিতে হবে। এ দায়িত্বটা অফিফই নিয়েছে। প্রথম থেকেই অ্যাটাকিং খেলছে। আমি বল টু বল খেলার চেষ্টা করছি।’
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৯২৫/স্বব