মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে মানুষের ঢল

399

চট্টগ্রাম, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম নগরী। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে মানুষের ঢল নামে।
ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিমনেশিয়াম মাঠ ও আশেপাশের এলাকা সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে। টাইগারপাস মোড় থেকে কাজীর দেউড়ি ও লাভলেন মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকাকে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহাসিক ছবি, রঙিন ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিকেল ৩টার আগেই জিমনেশিয়াম মাঠ মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়কে অবস্থান নেন অনেকে।
ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে আসা লোকজন যাতে সড়কে দাঁড়িয়েও সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স দেখতে পারেন, এ জন্য স্থাপন করা হয়েছে একাধিক জায়ান্ট স্ক্রিন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে লালখান বাজার মোড় সড়ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগরে স্থাপিত চারটি ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধন করেন। পুরাতন নগর ভবনের সামনে ‘এ’ ক্যাটাগরির একটি, সার্কিট হাউজের সামনে, আদালত ভবনের সামনে এবং শাহ আমানত সেতু এলাকায় ‘বি’ ক্যাটাগরির তিনটি কাউন্ট ডাউন ক্লক উদ্বোধন করেন প্রধান মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস, শিল্পী ঐশী এবং চট্টগ্রামের শিল্পীরা এতে সংগীত পরিবেশন করছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজ থেকে শুরু হয়েছে জাতির পিতার শতবর্ষ ক্ষণগনণা। এ উপলক্ষে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় নগরের চারটি স্পটে কাউন্ট ডাউন ক্লক বসানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধন করেন।
এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নৌঘাঁটির নামকরণ করেন বিএনএস ঈসা খান। সেই ঘাঁটির প্রধান ফটকে বর্ণিল আয়োজনে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার কাউন্ট ডাউন ক্লক উদ্বোধন হলো শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিববর্ষের কাউন্ট ডাউন ক্লকগুলোর উদ্বোধন করেন। বিএনএস ঈসা খানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আবু আশরাফ।
এ সময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, নৌ সদস্য, নৌবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিভিন্ন তথ্যচিত্র, জাতির পিতার ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শিত হয়। ওড়ানো হয় শত শত বেলুন ও পায়রা। বড় পর্দায় দেখানো হয় বিটিভি সম্প্রচারিত জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের মূল অনুষ্ঠান।