স্বাধীনতা বিরোধীদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে : পূর্তমন্ত্রী

236

ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম স্বাধীনতা বিরোধী এবং তাদের প্রেতাত্মারা দেশে আর যাতে মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
আজ বৃহষ্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী এবং তাদের প্রেতাত্মারা দেশে মাথাচারা দিয়ে উঠছে। এরা যেন আর মাথা তুলতে না পারে সেজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন অসম্প্রাদায়িক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সম্প্রীতি বাংলাদেশ সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জাতির মধ্যে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারের কথা উল্লেখ করে গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী বলেন, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীট দিয়ে তৎকালীন সরকার প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার বিচার করা উচিৎ। ওই হামলার সঙ্গে খালেদার জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আটক করা, তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা, অপরাধীদের বিচার করা এবং দেশে আইনের শাসন কায়েম করা শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে।
রেজাউল করিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করা এবং লালন-পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাঁর জন্য আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সচিব ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহবায়ক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. বিমান বড়–য়া, ড. আলম সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা মিহির কান্তি ঘোষাল, শিক্ষক ও খ্রীষ্টধর্মীয় নেতা রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিচারপতি মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন যাঁকে বিশ্ব সম্মানের চোখে দেখতেন, সব নেতারাই সমীহ করতেন। বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান থেকে মুক্ত হওয়ার পর লন্ডনে পৌঁছালেন তখন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য সব ধরণের প্রটোকল ভেঙ্গে তাঁর সঙ্গে আলাপ-চারিতা করেছেন। এমন ঘটনা বিশ্বে আর কখনো ঘটেনি এবং ঘটবে কি না তা বলা যায় না।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধু যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তা হলো বিশ্ব গণতন্ত্র। কারণ তাঁর গণতন্ত্রে সারা বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথা স্থান পেয়েছে।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই মুজিববর্ষে আমাদেরকে তাঁর আদর্শ হৃদয়ে পোষণ করেই সরকার প্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী শেখ হাসিনার প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।