বাসস দেশ-২৯ : পুরান ঢাকার রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম শ্যামপুরে স্থানান্তরের উদ্যোগ

112

বাসস দেশ-২৯
রাসায়নিক গুদাম-স্থানান্তর
পুরান ঢাকার রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম শ্যামপুরে স্থানান্তরের উদ্যোগ
ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : পুরান ঢাকার রাসায়নিক দ্রব্যের গুদামগুলো আস্থায়ীভাবে রাজধানীর শ্যামপুরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য গুদাম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
আজ রাজধানীর শ্যামপুরস্থ উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গণে এ নির্মাণকাজের ভিত্তি ফলক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল পণ্য নিরাপদে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হলো।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার সাময়িকভাবে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য মুন্সিগঞ্জে বিসিক কেমিক্যাল শিল্পনগরি গড়ে তোলা হচ্ছে। এ শিল্পনগরি স্থাপনের পরপরই সেখানে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবসায়িদেরকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেয়া হবে।
অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মিত রাসায়নিক গুদাম প্রকল্প আগামী ৬ মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ইতোমধ্যে দেশে ব্যবসা ও শিল্পসহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বিশেষ করে পুরাতন ঢাকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় ঢাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. হাইয়ুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও নকশা) ক্যাপ্টেন আল আমিন চৌধুরীসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিসিআইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ৬ দশমিক ১৭ একর জায়গার ওপর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা হলেও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেডকে ৪৯ কোটি ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮৫ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে।
প্রকল্পে আওতায় ৫৪টি অস্থায়ী গুদাম, ভূমি উন্নয়ন, গুদাম সংশ্লিষ্টদের জন্য তিনতলা বিশিষ্ট ২টি অফিস ভবন, বিসিআইসির জন্য একটি অফিস ভবন, একটি মসজিদ এবং ১ লাখ গ্যালন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওভারহেড ও একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, ট্রান্সফরমার, জেনারেটর, ফায়ার হাইড্র্যান্টসহ স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা স্থাপন, সংযোগ রাস্তা, আরসিসি ড্রেন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে ২৩টি গুদাম তৈরির জন্য লেআউট প্লান সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৯৪১/অমি