বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ : মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সফল করে তুলবে : প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

115

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩
শেখ হাসিনা-বাণী
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সফল করে তুলবে : প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে তুলে ধরতে সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তর, সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সফল করে তুলবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু’ সকলের। কাজেই সকলের কাছে তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে তুলে ধরতে সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তর, সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সফল করে তুলবে -এ আমার প্রত্যাশা।” প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের ক্ষণগণনা উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন। আগামীকাল ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন হতে এই ক্ষণগণনা শুরু হবে। আর ১৭ মার্চ ২০২০ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা।
আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা উপলক্ষে সারাদেশে স্থাপিত ক্ষণগণনার ঘড়ি এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে স্থাপিত ডিসপ্লেগুলো জনসাধারণের মধ্যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোন এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সাহসী অগ্নিপুরুষের নাম। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙালি জাতি যুগে যুগে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। অবশেষে বিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে মুক্তির দূত হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি শেষ পর্যন্ত পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা লাভ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল মানুষের কল্যাণের জন্য- বাঙালির মুক্তির জন্য। মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির লক্ষ্যে শাসকদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। এমনকি জনগণের জন্য জীবন উৎসর্গ করতেও তিনি প্রস্তুত ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবনের আরাধ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ রুদ্ধ করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে জনগণের রায়ে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বাস্তববমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাঙ্খিত লক্ষ্যে উপনীত হবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের ক্ষণগণনা উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯০০/কেএমকে