বাসস সংসদ-৩ : সংসদ সদস্য মো. ইউনুস আলী সরকারসহ সাবেক সংসদস্যদের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত

167

বাসস সংসদ-৩
সংসদ-শোক
সংসদ সদস্য মো. ইউনুস আলী সরকারসহ সাবেক সংসদস্যদের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
সংসদ ভবন, ৯ জানুয়ারি,২০২০ (বাসস) : একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য মো. ইউনুস আলী সরকারসহ, কয়েক জন সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুতে আজ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ গ্রহণ করেন।
এছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদও আলোচনায় অংশ নেন।
অন্য যাদের নামে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে তারা হলেন, নবম ও দশম সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আব্দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন, এবাদত হোসেন মন্ডল, গুলজার আহমেদের মৃত্যুতেও সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
এর বাইরে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রখ্যাত আলেম শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী, সাবেক বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় রায়, কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ সেলিম, প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান, ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু, সুরকার- সঙ্গীত পরিচালক বাসুদেব ঘোষ, বীরঙ্গনা আফিয়া খাতুন খঞ্জনি, বীরঙ্গনা রাহেলা বেগম, সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দঃ প্রিন্সের মা সুফিয়া খন্দকার ও সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামানের মা ফাতেমা খানমের মৃত্যুতে সংসদ থেকে গবীর শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া তেহরানে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত, অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ, সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা এবং শ্কোসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
এর আগে সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি বর্তমান সংসদের সদস্য ইউনুস আলী সরকারের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মো. ইউনুস আলী সরকারের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্য রওশন এরশাদ বলেন, ডা. ইউনুস আলী সরকার একজন অমায়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বিনা পয়সায় দুস্থ গরীব রোগীদের দেখতেন। তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। তাকে হারিয়ে সত্যিকার অর্থে আমরা একজন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষকে হারিয়েছি।
তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির কথা স্মারণ করে বলেন, বাপ্পির অকাল মৃত্যুতে এই সংসদ একজন দক্ষ সাংসদ ও সুবক্তাকে হারিয়েছে। এসময় তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, তার পরিবারটি আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। তিনি এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তার শোক সভায় লাখ মানুষের উপস্থিতি এবং মৃত্যুর পর তার মরদেহে রংপুর মেডিকেল কলেজের সর্বস্তরের ডাক্তারদের সম্মান প্রদর্শন প্রমান করে তিনি এলাকায় কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি দলের এবং বিএমএ’র অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ডা. ইউনুস আলী সরকার একজন সচেতন রাজনীতিবিদ এবং দক্ষ চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব রাজনীতিক ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন এবং দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
সরকারি দলের সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, ডা. ইউনুস আলী সরকার একজন ভাল সংগঠক ছিলেন। তিনি ডাক্তারদের সংগঠিত করতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য আবুল কালাম আসাদুল হক, খালেদা খানম, ঐক্যফ্রন্টের সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বিরোধী দলের সদস্য মশিউর রহমান রাঙাঁ,
আলোচনা শেষে সংসদে মৃত্যুবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।
এর পর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি সংসদের বৈঠক কিছুক্ষণের জন্য মুলতবি করা হয়।
বাসস/এমআর/এমএইচএস/১৭৩৫/-আসচৌ