বাসস ক্রীড়া-১ : ক্রুসের বিস্ময় গোলে সুপার কাপের ফাইনালে মাদ্রিদ

113

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-স্প্যানিশ সুপার কাপ
ক্রুসের বিস্ময় গোলে সুপার কাপের ফাইনালে মাদ্রিদ
জেদ্দা, ৯ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : কর্ণার থেকে টনি ক্রুসের সরাসরি গোলে রিয়াল মাদ্রিদ বুধবার ভ্যালেন্সিয়াকে পরাজিত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে ম্যাচের ১৫ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক জাওমে ডোমেনেকের রক্ষনভাগ সাজানোর সুযোগে দ্রুত কর্ণার কিক নিয়ে সরাসরি তা জালে প্রবেশ করান ক্রুস। অসাধারণ এই গোলে মাদ্রিদ লিড পায়। এরপর ৩৯ মিনিটে ইসকো ব্যবধান দ্বিগুন করেন। বেশ কয়েকবারের সুযোগে অবশেষে ৬৫ মিনিটে সফল হন লুকা মড্রিচ। ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেছেন দানি পারেহো।
৬২,৩৪৫ ধারণক্ষসতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটিতে মাত্র ৪০,৮৭৭ দর্শকের উপস্থিতি আয়োজকদের লজ্জায় ফেলেছে। আর আরো একবার স্পেনের বাইরে ঘরোয়া এই আসরের আয়োজনে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনও সমালোচিত হয়েছে।
ম্যাচ শেষে মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান বলেছেন, ‘দলের সার্বিক পারফরমেন্সে আমি খুশী। বিশেষ করে ইসকোর গোলটি আমাদের সন্তুষ্ট করেছে। কারন আমার মনে হয়েছে এই গোলটি তার প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া ক্রুসের দুর্দান্ত গোলটি নিয়ে বলার কিছু নেই। মড্রিচের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। তবে সবকিছুর পরেও এটা সেমিফাইনাল, এখনো আমরা কোন কিছুই অর্জন করতে পারিনি।’
এর আগে বার্সা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দে বলেছিলেন প্রথাগত ফর্মেটের এই প্রতিযোগিতায় তিনি খেলতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। যেখানে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা কোপা ডেল রে’র বিজয়ীর সাথে খেলবে। পুরোনো নিয়মানুযায়ী গত মৌসুমে লিগে তৃতীয় স্থান লাভ করা ও কোপার ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়া রিয়াল মাদ্রিদ কোনভাবেই স্প্যানিশ সুপার কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনা। কিন্তু এখন তাদের সামনে শিরোপা জয়ের সুযোগ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে দেশের বাইরে এই আয়োজন নিয়ে। যেখানে দেশের হাজার হাজার সমর্থকরা তাদের প্রিয় দলের ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
দুই অর্ধেই রিয়াল মাদ্রিদ পুরো আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে। এই জয়ের মাধ্যমে টানা ১৫টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে রিয়াল অন্তত একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন মৌসুমের দ্বিতীয় অর্ধে তারা পুরো প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছে।
হাঁটুর ইনজুরির কারনে কাল ভ্যালেন্সিয়া দলে ছিলেন না তারকা উইঙ্গার রডরিগো মোরেনো। অন্যদিকে মাদ্রিদে ছিলেন না দলের শীর্ষ গোলদাতা করিম বেনজেমা ও আরেক তারকা গ্যারেথ বেল। বেনজেমা হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন, বেল শ্বাসনালীর প্রদাহের কারণে খেলতে পারেননি। ফাইনালের স্কোয়াড থেকে জিদান বেলকে এখনো বাদ না দিলেও পুরো সপ্তাহ তিনি অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে ক্রুসের ওপর আক্রমণভাগের দায়িত্ব পড়ে। আর সেই দায়িত্ব দারুণভাবে পালন করেছেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। ১৫ মিনিটে অত্যন্ত চতুরতার সাথে ক্রুস কর্ণার থেকে যে গোলটি করেছেন তা অনেকদিন ফুটবল বিশ্ব মনে রাখবে। রক্ষণভাগকে সাজাতে ব্যস্ত ছিলেন ডোমেনেক। সেই সুযোগে ক্রুস বলটি সরাসরি পোস্টে কিক করেন। ডোমেনেক তা দেখলেও ততক্ষণে দেরী হয়ে গিয়েছিল।
কার্লোস সোলারকে ফাউলের অপরাধে ক্যাসেমিরোর বিপক্ষে পেনাল্টির আবেদন করে সফল হতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া। বিরতির আগে ফেডে ভালভার্দের থেকে মড্রিচ পোস্টে শট নেন। রক্ষণভাগের কাছ থেকে ফিরতি বলে ইসকো ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৬৫ মিনিটে লুকা জোভিচের কাছ থেকে বল পেলে ডান পায়ের আড়াআড়ি শটে মড্রিচ দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন।
ইনজুরি টাইমে সার্জিও রামোসের হ্যান্ডবলের কারনে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে পারেহোর গোলে ভ্যালেন্সিয়া ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে।
বাসস/নীহা/১৬০৫/স্বব