সিটি নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা নেই: ওবায়দুল কাদের

220

ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস): আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় রদবদল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। তারপরও আমি বলব এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি যে কোনো সময় মন্ত্রিসভা পরিবর্তন করতে পারেন। খুব তাড়াতাড়ি কিছু হবে এমন খবর আমার কাছে নেই, কিংবা থাকলেও সে সম্ভাবনা খুব কম।’
ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।
সিটি নির্বাচনে অনেক বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দেখেন কারা প্রত্যাহার করেন, আজকের পরে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
তিনি বলেন, যাদেরকে বিতর্কিত বলা হয় দেখা যায় নির্বাচনে তারাই জয়লাভ করে। এ রকম অতীতে অনেক দেখেছি। গতবারও সিটি নির্বাচনে হয়ত একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি কিন্তু জিতেছে বিতর্কিত ব্যক্তি। জনগণ যাকে নির্বাচিত করে তাকে একসেপ্ট না করে তো উপায় নেই। এখন আমরা সবকিছু মূল্যয়ন করছি।
সড়ক নিয়ে অস্বস্তি আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সড়ক আইনে সংযম করছি। সড়ক আইনের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলছে, আমরা নিজেরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের জনবল সংকট আছে। বিআরটিএর জনবল বৃদ্ধি করা দরকার। আমরা শিগগিরই জনবল পেয়ে যাব। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য টেন্ডার হয়েছিল। সেখানে ত্রুটি দেখা গেছে, তাই অন্যায়ভাবে কাউকে আমরা কাজ দিতে পারিনা। রিটেন্ডার করতে হচ্ছে বলে দেরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার এবং দলকে আলাদা করার জন্য অনেক মন্ত্রীকে দলের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
এখন যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে কিনা। তার সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে নেব। আমাকে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে বললে আমিও ছেড়ে দেব।
মধ্যপ্রাচ্যে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, বিষয়টি সরকার কিভাবে দেখছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যেখানে আমেরিকা-ইরাক মুখোমুখি অবস্থানে, সেখানে বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন। তেলের দাম বাড়লে তার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও আসবে। আমরা চাই তারা যুদ্ধ থেকে সরে আসুক। আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করুক। আমরা যুদ্ধ চাই না।