নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি মহাসুবিধায় রয়েছে : এইচটি ইমাম

181

ঢাকা, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি মহাসুবিধায় রয়েছে।
তিনি বলেন, “নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী-সরকারি সুবিধা ভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারে না। এক্ষেত্রে বিএনপি মহাসুবিধায় রয়েছে। তাদের সকল নেতাই প্রচারে অংশ নিতে পারছেন। কিন্তু আমাদের তো মুখে কুলুপ লাগানো।”
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আজ বৈঠক শেষে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এইচটি ইমাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “২০০৪ সালের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি আমিই সামনে এনেছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের চাইতে বিএনপি অনেক উপরে। তাদের প্রচার কাজ চালাতে বাধা নেই।”
এমপিদের দুই সিটি ভোটের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সেটা তো দলীয় কার্যক্রম। নির্বাচনী কার্যক্রম নয়। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারও এখন শুরু হয়নি।”
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ দেয়া হলে তখন দেখবো, দলীয় কেউ নিয়োগ পেয়েছে কিনা।
এইচটি ইমাম বলেন, “আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটগ্রহণ হোক। এজন্য সরকার কী সহায়তা করতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম।”
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন, যন্ত্র আওয়ামী লীগ-বিএনপি চেনে না। কমিশনকে ধন্যবাদ, তারা অনেক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা বিষয়টা জানেন। সেনাবাহিনী এখানে ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে। ব্যাকআপ হিসেবে ৫০ শতাংশ মেশিন রাখা হবে। এতে একটিতে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি লাগিয়ে দেয়া যায়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা এরকম কোনো ঘটনা দেখিনি। এমন অভিযোগ যারা করছেন, তারা সব সময়ই করেন। সব সময়ই এমন বলেন। কাউকে ধরপাকড় ও এলাকা ছাড়ার মতো পরিস্থিতি ঘটেনি।”
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, “দু’টি বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ। আইনত তারা নির্বাচনী প্রচারকার্যে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনী প্রচারকাজ নয়, কোন নির্বাচনী কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারবেন না। তবে তারা যার যার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়াও ইভিএম কিভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সব কেন্দ্রের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম থাকবে। ইভিএম আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।”
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং দুই সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাউছার।