অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে : হাইকমিশনার

618

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশ চমকপ্রদ আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং আমরা দেশটির (বাংলাদেশ) উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।’
আজ সন্ধ্যায় জুলিয়া নিবলেট গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে জ্বালানি এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার বনভূমিতে দাবানলের পরিস্থিতি সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলায় গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশে ব্যাপক বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে শ্রীলংকার বিদায়ী হাইকমিশনার এ ডব্লিউ জে ক্রিসান্থে ডি সিলভাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন বলে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন।
বৈঠকে শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সব সময়ই তাঁর প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।’
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তাঁর সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা কখনও এবং কাউকেই আমাদের ভূখন্ডকে ব্যবহার করে অন্যদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেব না।’
মৎস্য চাষে শ্রীলংকার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শ্রীলংকার হাইকমিশনার বাংলাদেশে তাঁর অবস্থানকালীন সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।