বাসস দেশ-৩৫ : শিল্প কারখানা স্থাপনে প্রস্তুত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আটটি বিশেষ অর্থনীতিক অঞ্চল : বেজা

305

বাসস দেশ-৩৫
বেজা-অর্থনৈতিক অঞ্চল
শিল্প কারখানা স্থাপনে প্রস্তুত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আটটি বিশেষ অর্থনীতিক অঞ্চল : বেজা
ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বিশ্ব দরবারে দেশকে একটি শিল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) শিল্প কারখানা স্থাপনে ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আটটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) প্রস্তুত করেছে।
অঞ্চলগুলো হলো- মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল জোন-২এ, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল জোন-২বি, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহাট্টা অর্থনৈতিক অঞ্চল, ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল, এসবিজি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বাসসকে বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শিল্প কারখানা স্থাপনে অনেক দেশি বিদেশি উদ্যোক্তাগণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং এরদের মধ্যে কেউ কেউ কারখানার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।
তিনি জানান, ঝুঝু জিনিয়ান ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জিনিয়ান ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লি. ইতোমধ্যে মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রাম এবং ফেনী জেলার অধীনস্ত সীতাকুন্ডো এবং সোনাগাজী উপজেলায় ১৫০ মেগাওয়াটের বিআর পাওয়াজেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ এ মাসেই সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, অপর ছয়টি কোম্পানি- মর্ডান সিনথেটিক, আরমান হক ডেনিম, এশিয়ান পেইন্টস্, নিপ্পন এন্ড ম্যাকডোনাল্ড, বাংলাদেশ অটো কারস্ এবং বসুন্ধরা ক্যামিকেলস্ ইতোমধ্যে তাদের কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
এ বছরের মধ্যে তালিকাভূক্ত ২০ টি কোম্পানি তাদের কারখানা নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পবন চৌধুরী বলেন, দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে আরও সাতটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বেজা সারা দেশে আরও ১৪ টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা করছে এবং ১৪ টির মধ্যে এসইজেড-নেত্রকোনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বগুড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল এই দুটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
আরও ১২ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো- গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কোটালীপাড়া উপজেলায় গোপালগঞ্জ ইজেড -১, সীতাকুন্ডো অর্থনৈতিক অঞ্চল, টাঙ্গাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল, মানিকগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ভোলা অর্থনৈতিক অঞ্চল, নববগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সিলেট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শেরপুর ও জামালপুর জেলায় জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল-২, নীলফামারী অর্থনৈতিক অঞ্চল, আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল -২ এবং পঞ্চগড় অর্থনৈতিক অঞ্চল।
তিনি জানান, বেজা ইতোমধ্যে ২০ টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স দিয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১১ টিকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
বেজা মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল, আমান অর্থনৈতিক অঞ্চল, বে অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেঘনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চল, সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল, সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী ড্রাই ডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইস্ট ওয়েস্ট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হোসেন্ডি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে লাইসেন্স দিয়েছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল, আরিশা অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইউনাইটেড সিটি আইটি পার্ক, বসুন্ধরা অর্থনৈতিক অঞ্চল, সোনারগাঁ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল, হামিদ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রাক-যোগ্যতার লাইসেন্স দিয়েছে।
দেশীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দেশের ১ কোটির বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন ২০১০ এর আওতায় বেজা গঠিত হয়েছিল।
সরকার ছয় ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, বেসরকারী, বিশেষ পণ্য বা দেশের এবং জোনের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল, সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বের অধীনে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ করছে।
বাসস/কেইউসি/অনু-এসই/২০৪০/অমি