বাসস দেশ-৩০ : মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা শুরুর দিন চট্টগ্রাম হবে উৎসবের নগরী

123

বাসস দেশ-৩০
চট্টগ্রাম-মুজিব বর্ষ- ক্ষণ গণনা
মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা শুরুর দিন চট্টগ্রাম হবে উৎসবের নগরী
চট্টগ্রাম, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ শুরুর ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধনের দিন আগামী ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম হবে উৎসবের নগরী।
এ দিনটিকে ঘিরে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে ও সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ক্ষণ গণনা শুরু উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)-এর টাইগারপাস কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনায় অংশ নেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দীপক চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আসাদুর রহমান মল্লিক, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াজেদ কাওসার, গণপূর্ত অধিদপ্তর-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ও শিল্পী পার্থ বড়–য়া। এছাড়া, চসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, কাউন্টডাউন ক্লক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ১০ জানুয়ারি এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৩ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগরীতে স্থাপিত চারটি কাউন্ট ডাউন ক্লক উদ্বোধন করবেন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় ব্যান্ড গ্রুপ সোলস্, শিল্পী ঐশী এবং চট্টগ্রামের প্রতিভাবান শিল্পীরা এতে সঙ্গিত পরিবেশন করবেন। এছাড়া চসিকের ব্যবস্থাপনায় লালখানবাজার, কাজীর দেউড়ি, লাভলেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও সিটি গেট এলাকাকে প্রচারণামূলক ব্যানার ফেস্টুনে বর্ণিলভাবে সাজানো হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, মুজিব বর্ষ পালনের প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এই ক্ষণ গণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে। পাশাপাশি, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের বহু ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত এ চট্টগ্রামে দিনটিকে আমরা উৎসবমুখর করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাসস/কেএস/কেসি/১৯৪০/কেএআর