দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি

308

॥ আমিনুল ইসলাম মির্জা ॥
নয়াদিল্লী, ৬ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস): ৭০ সদস্যের দিল্লী বিধানসভার মেয়াদ ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) আজ দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটির রাজধানীর বিধান সভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে এক কোটি ৪৬ লাখের বেশি ভোটার আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
সোমবার দিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা করা হবে। ওই দিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ইসিআই এর মতে, মোট ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৬ জন নিবন্ধিত ভোটার এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ১৩ হাজার ৭৫০টি ভোট কেন্দ্রে ৯০ হাজার নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে মডেল কোড অব কনডাক্ট কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
জাতীয় রাজধানীতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের বিধান সভার নির্বাচনে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি) ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসনে জয়লাভ করে। অবশিষ্ট তিনটি আসনে কংগ্রেস ও বিজেপি জয়লাভ করে। গণমাধ্যম জানায়, ২০১৫ সালের আম আদমি পার্টি ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট।
গত মাসে ঝাড়খন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি পরাজয় বরণ করার পর এটাই হতে যাচ্ছে প্রথম নির্বাচন।
বিজেপি তাদের বিরোধী ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে পরাজিত হয়েছে। কংগ্রেস বিরোধী জোটে ছিল।
গণমাধ্যমে আভাস মিলছে, নাগরিক আইন ও এনআরসি’র মতো কর্মসূচি আসন্ন দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল রাজ্যের বিজেপি বিরোধী নেতৃবৃন্দ এবং এনআরসি ও এনপিআর কর্মসূচির বিরোধী রাজনীতিবিদদের সাথে জোট বাঁধায় এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে।