বাসস দেশ-৩২ : বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শাক-সবজির দাম অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে : স্বপন ভট্টাচার্য

231

বাসস দেশ-৩২
নিরাপদ খাদ্য-সমবায় প্রতিমন্ত্রী
বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শাক-সবজির দাম অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে : স্বপন ভট্টাচার্য
ঢাকা, ৫ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা গেলে ও মধ্যসত্বভোগীদের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করা গেলে অনেকাংশে শাক-সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, সবজি চাষ করতে যেসমস্ত উপাদান লাগে সেগুলোর দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই নিরাপদ খাদ্য পেতে হলে এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে হলে একটু বেশি দাম দিয়েই সবজি কিনতে হবে।
স্বপন ভট্টাচার্য্য আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামে পঞ্চমবারের মতো জাতীয় সবজি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের পরিচালক কৃষিবিদ মো. কবির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেলায় অনেক সবজির প্রযুক্তি আনা হয়েছে। এ প্রযুক্তিগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে জেলা বা উপজেলায় নিয়ে গেলে মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, আজ থেকে দশ পনের বছর আগে ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম কেউ চিনতো না। এখন এগুলো দেশে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশ শাকসবজিতে ব্যাপক উন্নতি করেছে, যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। এ অবদান বর্তমান সরকার ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলের।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে সবজিতে যেভাবে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তাতে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হচ্ছে। আমাদের জৈব কৃষিতে যেতে হবে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। সরকার কৃষকদের কাছে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সবজির বাজার আরো দ্রুত সম্প্রসারিত হবে।
শাক-সবজি চাষে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের মধ্যে পুরষ্কার হিসেবে নগদ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
জাতীয় পর্যায়ে ২০১৯ সালে শাকসবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঢাকার সাভার উপজেলার মো. কোব্বাত হোসাইনকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় হয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মো. আজাগার আলী। তৃতীয় হয়েছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মোছা. নুরুন্নাহার বেগম ।
এছাড়াও বাড়ির ছাদে শাকসবজি আবাদে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে ঢাকার মিরপুর এলাকার শাহানাজ মোস্তফা ও চট্টগ্রামের লালখান বাজারের মোস্তাকুর রহমান এবং জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার শেওড়া পাড়ার মো. দুলু মিয়া, মানিকনগরের জাহানারা লাউজু এবং ওয়ারীর মো. আজিজুল ইসলামকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শাক-সবজি উৎপাদনে হেক্টর প্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে যশোর, যৌথভাবে দ্বিতীয় রংপুর, জামালপুর এবং ও তৃতীয় পাবনা জেলা।
স্টলের যথার্থতা, সাজসজ্জা, প্রদর্শিত দ্রব্যের মান ও পরিমাণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা উপস্থাপন করে জাতীয় সবজি মেলা ২০২০ এ অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং যৌথভাবে তৃতীয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও কৃষি বিপনন অধিদপ্তর (ড্যাম)। বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে এসিআই সীড, এসিআই লিমিটেড, দ্বিতীয় মেটাল এগ্রো লিমিটেড এবং তৃতীয় কৃষক বাংলা এগ্রো প্রোডাক্টস। মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
মেলায় সরকারি ৮টি ও বেসরকারি ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের ৬৫টি স্টল ও ৪টি প্যাভেলিয়ন অংশ নেয়। তিন দিনের এ মেলায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার সবজি বিক্রি হয়। ‘পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ সবজি’ প্রতিপাদ্যে এ মেলার আয়োজক কৃষি মন্ত্রণালয়।
বাসস/সবি/এমএএস/১৯৪২/এসই