বাসস দেশ-৩৯ : চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক জাহাজ খালাস হয়েছে

231

বাসস দেশ-৩৯
বন্দর-জাহাজ
চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক জাহাজ খালাস হয়েছে
চট্টগ্রাম, ২ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৯ সালে জাহাজ খালাস এ রেকর্ড অর্জন করেছে। গতবছর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩ হাজার ৮০৭ টি জাহাজ খালাস হয়েছে, যা তার আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ৩ হাজার ৭৪৭ টি জাহাজ।
২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৭ টিইইউ কন্টেইনার এবং ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬ টিইইউ কন্টেইনার খালাস করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বাসসকে বলেন, ২০১৯ সালে বন্দর দিয়ে ১০ কোটি ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৭ শ’ ৩৫ মেট্রিক টন কার্গো খালাস করা হয়েছে, যা তার আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ৯ কোটি ৬৩ লাখ ১১ হাজার ২ শ’ ২৪ মেট্রিক টন।
বন্দর সূত্র জানায় ক্যারিয়ার জাহাজগুলো সমুদ্রের জোয়ার এবং ভাটার উপর নির্ভর করে গভীর নোঙর থেকে অভ্যন্তরীণ বার্থে নেয়। উল্লেখ্য, বড় কার্গো জাহাজগুলো বহির্নোঙরে রাখা হয় এবং চাল, গম, লবণ, অপরিশোধিত তেল, সিমেন্ট ক্লিংকার এবং শিল্প কাঁচামাল ইত্যাদির বহনকারী খোলা কার্গো থেকে হালকা জাহাজের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টোর, সাইলো ও পোর্টশেডে সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বাসসকে বলেন, বড় জাহাজ দিয়ে বহির্নোঙরের কার্গো খালাস করা হয়, তবে খালাস ব্যয় ও সময় দু’টিই কমে আসবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায় ব্যয়ও অনেক কমে আসবে। তিনি বলেন, যদি কোন জাহাজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় বর্হিনোঙরে অবস্থান করে তবে শিপিং এজেন্টকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করতে হয়। বে-টার্মিনাল কমিশনিংয়ের পর বড় জাহাজগুলো জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা না করে সরাসরি টার্মিনালে ভিড়তে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাসস/এমএএম/অনু-এসই/১৯৫৫/-কেএমকে