বাসস দেশ-৬ : আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে : ভূমিমন্ত্রী

176

বাসস দেশ-৬
শামসুর-চেক-বিতরণ
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে : ভূমিমন্ত্রী
ঈশ^রদী, ৬ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাবনা ঈশ^রদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বিশে^র আদর্শ রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বিশে^র অন্যতম এটমিক রিএ্যাক্টর এনার্জি উৎপাদনের মডেলে রূপ দিচ্ছেন।
আজ শুক্রবার ঈশ^রদী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ভূমিমন্ত্রী একথা বলেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় সরকারি খাস জমিতে অস্থায়ীভাবে চাষাবাদকারী কৃষকদের মাঝে মানবিক দিক বিবেচনায় ফসলের ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ এবং আগামী ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর ঈশ^রদী আগমণ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী ২০৬ জন কৃষকের মাঝে ৮ কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন। পর্যায়ক্রমে ৫২৫ জন কৃষকের মাঝে ২৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হবে।
পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঈশ^রদী উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
শামসুর রহমান শরীফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঈশ^রদী উপজেলার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসনের প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ প্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ আলী মিঞা রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বাস্তব উদ্যোগ নেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো নিশ্চিত করাসহ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স¦াবলম্বি করতেই দেশের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেন। অথচ এ বিদ্যুৎ নিয়ে একসময় অনেক ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।
শামসুর রহমান শরীফ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের সব প্রকল্পের মধ্যে বৃহৎ প্রকল্প। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যবসা, বাণিজ্য, কলকারখানা কিছুই সম্ভব নয়। সব স্থানেই বিদ্যুৎ দরকার। সেচ, কৃষি কাজ, শিল্প, বাণিজ্য সকলক্ষেত্রে বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জাতির উন্নয়নে বিদ্যুতের ভূমিকা অপরিহার্য্য।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি পতিত জমিতে এতোদিন কৃষকরা আবাদ করেছে। এখন নতুন করে ৮০০ একর খাস জমি রূপপুর প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইবছরের আবাদি ফসলের ক্ষতিপূরণ কৃষকদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সে লক্ষ্যেই ২৮ কোটি টাকা ৫২৫ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে শুরু করে সব ধরনের ভাতা দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ।
বাসস/সবি/এমএন/১৬৪০/কেজিএ