বাসস ক্রীড়া-১৩ : চাপ-অভিজ্ঞতা কোনো ইস্যু নয় : শান্ত

123

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু বিপিএল
চাপ-অভিজ্ঞতা কোনো ইস্যু নয় : শান্ত
ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হয়নি বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর। তবে শেষ দুই ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা শান্ত। তবে খারাপ পারফরমেন্সের পেছনে চাপ বা অভিজ্ঞতা কোন ইস্যু নয় বলে মনে করেন শান্ত। এবারের আসর নিয়ে পরিকল্পনা ছিলো তার। ভালো পারফরমেন্স করার লক্ষ্য নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেন শান্ত। কিন্তু সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও হতাশ নন তিনি। টুর্নামেন্টের বাকী ম্যাচগুলোতে ভালো করার ইঙ্গিতও দেন শান্ত।
শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। শুরুটা ভালো হয়নি, তবে শেষ দুই ম্যাচে ভালো একটা শুরু পেয়েছি। আশা করব সামনের ম্যাচ গুলো আরও ভালো করার।’
চাপ অনুভব বা অভিজ্ঞতা কম থাকার কারনে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না-এমনটা নয় জানিয়ে শান্ত বরেন , ‘না আমার কাছে মনে হচ্ছে না চাপ কিংবা অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আমি মনে করি ক্রিকেট খেলায় একদিন ভালো হবে, একদিন খারাপ হবে। আমার কাছে চাপ বা অভিজ্ঞতা কোনো ইস্যু মনে হচ্ছে না। আজকে ভালো হচ্ছে কাল খারাপ হবে, ক্রিকেটের এমনই নিয়ম। আমি এগুলা নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না।’
টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচে শান্তর রান ছিলো- ৪,০,১,০। তবে শেষ দুই ম্যাচে রানে ফিরেছেন তিনি। ৩০ ও ৪১ রান করেন শান্ত। তাই শেষ দুই ইনিংস থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন তিনি, ‘এখন পর্যন্ত ৪০-৫০টা ম্যাচের মতো খেলেছি। এ বছরের শুরুর দিকের কয়েকটা ম্যাচ যদি দেখেন, প্রথম কয়েকটি ম্যাচে আমি দ্রুত আউট হয়ে গেছি। এক-দুই বলের মধ্যেই; তাই সেভাবে ইনিংসটা সাজানোর সুযোগই পাইনি। তো আমার কাছে ওইরকম কিছু মনেই হচ্ছে না। শেষ দুইটা ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছি, বাকি ম্যাচগুলোতে যদি এটা করতে পারি তাহলে বড় রান করার প্রত্যাশা করছি।’
বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট থেকে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছেন শান্ত। তাই তাকে নিয়ে প্রত্যাশাও বেশি। কিন্তু এই প্রত্যাশাই কি চাপে ফেলছে তাকে! শান্ত বলেন, ‘আসলে প্রত্যাশা না থাকা ভালো। সকলেরই প্রত্যাশা থাকে, নিজের থাকে, পরিবারের থাকে। এটা নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি না করে প্রসেসটা মেনে চললেই আমার মনে হয় ভালো করা সম্ভব। ভালো করলে এমনেই প্রত্যাশা পূরণ হবে। আমি মনে করি সবাই আমার ওপর বিশ্বাস রাখছে। নির্বাচক বলেন, মিডিয়া বলেন, আর পরিবারের মানুষ তো আছেই। এটা একটা ইতিবাচক দিক। ভালো খারাপের মাঝে সব সময় পাশে থাকে সবাই। আমারও ওই প্রতিদানটা দেয়া উচিত। অনুশীলন করছি, প্রসেস মেনে চলছি। আজ খারাপ হচ্ছে অবশ্যই পরে ভালো হবে।’
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৮১৫/স্বব