বাজিস-৫ : ভোলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন

236

বাজিস-৫
ভোলা-আমন ফলন
ভোলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন
ভোলা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : চলতি মৌসুমে জেলার সাত উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় এক লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ’র লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে একলাখ ৭৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।
এছাড়া জেলায় এবার চারলাখ ৫৭ হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাঁচলাখ ৩২ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। আর হেক্টর প্রতি দুই দশমিক ৯৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট আমন আবাদের মধ্যে উফশী চাষ হয়েছে একলাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ হেক্টর ও স্থানীয় জাত হয়েছে ৩১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী উৎপাদন হয়েছে চারলাখ ৭১ হাজার ৯৬৮ মেট্রিক টন ও স্থানীয় জাত হয়েছে ৬০ হাজার ৪০১ মেট্রিকটন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জেলায় উফশী জাতের ধানের মধ্যে বিআর-১১, ২২, ২৩, ব্রি-ধান-৪০, ৪৪, ৪৬, ৫১, ৫২, ৬২, ৭৩, ৭৬ ইত্যাদি চাষ হয়। স্থানীয়জাতের মধ্যে কাজল সাইল, কালাগাড়া, মধুমালতী, লোতর, টেবু সাইল, ডিকজ, সাদা মোটা জাতের আবাদ বেশি করা হয়।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় দেবনাথ বলেন, কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আমনের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কারণ তখন আমন ফুলের স্তরে ছিলো, আর ওই সময়ে ধান গাছে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। ফলে টানা বৃষ্টিপাতে পানির ঘাটতি মিটিয়ে ক্ষতির চেয়ে উপকার বেশি হয়েছে। যেখানে বেশি পানি ছিলো সেখানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, এবছর উন্নতজাতের আমন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য রাজস্ব খাতসহ অন্যান্য প্রকল্প মিলিয়ে মোট ২১০টি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। ইতোমধ্যে মাঠ থেকে শতভাগ ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। এবছর ব্রি-ধান ৫২’র ফলন সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়েছিল এবং তাদের নিরলস পরিশ্রমে এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
বাসস/এইচএএম/২০৫৫/-এমকে