বাসস ক্রীড়া-১৯ : তামিম-আসিফের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ ঢাকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৪ রান

222

বাসস ক্রীড়া-১৯
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু বিপিএল
তামিম-আসিফের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ ঢাকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৪ রান
ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ওপেনার তামিম ইকবাল ও পাকিস্তানের আসিফ আলির দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ২৬তম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান করেছে ঢাকা প্লাটুন। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রান যোগ করেন তামিম-আসিফ। অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান তামিম ৫২ বলে ৬৮ ও আসিফ ২৮ বলে ৫৫ রান করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। এবারও দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তৃতীয় ওভারে দলীয় ২০ রানে আউট হন এনামুল। রাসেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৯ বলে ১০ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন প্রথমবারের মত এবারের আসরে খেলতে নামা লুইস রিসি। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১১ বলে ৯ রানে থামেন রিসি।
আগের তিন ম্যাচে পিঞ্চ হিটার হিসেবে তিন নম্বরে খেলতে নেমেছিলেন মেহেদি হাসান। প্রথম দু’ম্যাচে ৫৯ ও ৫৬ রান করলেও, আগের ম্যাচে খালি হাতে ফিরেন মেহেদি। তাই এ ম্যাচে রিসিকে উপরে সুযোগ গিয়ে মেহেদিকে চার নম্বরে ব্যাটিং-এ পাঠায় ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্ট।
মেহেদি যখন উইকেটে যান তখন ঢাকার স্কোর ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৩৬ রান। তবে ব্যাট হাতে মারমুখী হয়ে ওঠেন মেহেদি। ২টি ছক্কা ও ১টি চারে দলের রানের গতি বাড়ান তিনি। অপরপ্রান্তে মেহেদিকে স্ট্রাইক দিতে ওয়ানডে মেজাজে ছিলেন তামিম।
কিন্তু দশম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান মেহেদি। ১১ বলে ২১ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে উইকেটে যান তৃতীয়বারের মত এবারের আসরে খেলতে নামা আরিফুল হক। কিন্তু ৭ রানে আরিফুলকে থামান রাজশাহীর মিডিয়াম পেসার ফরহাদ রেজা। রানের গতি বাড়াতে এবার উইকেটে যান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু ফরহাদের প্রথম বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ম্যাশ। এতে ১২ দশমিক ২ ওভারে ৮৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ঢাকা।
এ অবস্থায় ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন পাকিস্তানের আসিফ আলি। প্রথম ৬ বল ৭ রান নেন আসিফ। ১৫তম ওভারে ফরহাদকে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। এতে ১৬ ওভার শেষে ঢাকার রান দাড়ায় ৫ উইকেটে ১১৯।
১৭তম ওভারে ফরহাদকে প্রথম তিন বলে ২টি ছক্কা ও ১টি চার হাঁকান আসিফ। আর শেষ বলে ছক্কা মেরে ঐ ওভার থেকে ২৩ রান তুলেন তামিম-আসিফ জুটি। ঐ ছক্কাতেই ৪৪ বলে এবারের আসরে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম।
রাসেলের ১৮তম ওভারে তামিমের ১টি করে ছক্কা ও চারে ১১ রান পায় ঢাকা। ১৯তম ওভারে আসিফের একটি ছক্কায় ১২ রান পায় ঢাকা। স্বদেশী ইরফানের এ ওভারেই বাউন্ডারি হাকিয়ে ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় আসিফের। কিন্তু রাসেলের শেষ ওভার থেকে ৯ রানের বেশি নিতে পারেননি তামিম-আসিফ জুটি। তারপরও ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রান যোগ করেন তামিম-আসিফ। জুটিতে ২৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন তারা। শেষ ৪ ওভারে ৫৫ রান পায় ঢাকা।
৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ৪টি করে চার-ছক্কায় ২৮ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করেন আসিফ। রাজশাহীর ফরহাদ ৪৪ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা প্লাটুন : ১৭৪/৫, ২০ ওভার (তামিম ৬৮*, আসিফ ৫৫*, ফরহাদ ২/৪৪)।
বাসস/এএসজি/এএমটি/২০৪৫/স্বব