গণতন্ত্র ধ্বংসের জনক বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

600

ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র ধ্বংসের জনক বিএনপি। ২০০৬ সালে এক কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার তৈরি করে বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাঁ-না ভোটে নির্বাচিত হয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মাগুড়ার উপ-নির্বাচনে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। পচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরে ২১ বছর গণতন্ত্র বুটের তলায় পিশিয়ে ফেলা হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের আজ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছিলেন। শেখ হাসিনা বার বার মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে বিজয়ের জয় গান গেয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে শেখ হাসিনা শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র মানায় না। বিএনপি আজ নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ। সে কারণে এই দিন তাদের জন্য কালো দিবস। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ভালবাসায় বিজয়ী। সে কারণে আজ আমাদের বিজয় দিবস।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে বর্তমান কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের আহবান জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে সন্ত্রাস-দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজদের এবং মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান নেই। ভালো লোককে স্থান করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সারাদেশে সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী। বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে জনগনের জান-মালের নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. সাঈদ খোকনের সফলতার পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতা আছে। তিনি চেষ্টা করেছেন। তিনি ব্যর্থ নন। তবে ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয় এবং ক্লিন ইমেজের নেতাদের আমরা দলীয় মনোয়ন দিয়েছি। তিনি বলেন, অতীতে যাদের রাজনীতির অভিজ্ঞতা নেই তারা এসে ভালো কিছু করতে পারবে না। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজ করার আহবান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এতে আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেকমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।