বাসস দেশ-৫ : থার্টিফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ : ডিএমপি

155

বাসস দেশ-৫
থার্টিফাস্ট নাইট-ডিএমপি-সংবাদ সম্মেলন
থার্টিফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ : ডিএমপি
ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস): থার্টিফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ইংরেজি নববর্ষ-২০২০উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই উন্মুক্ত বা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। কারণ, উন্মুক্ত স্থানের নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিন। এবারও উন্মুক্ত স্থানে সব ধরণের অনুষ্ঠান, নাচ-গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি থাকছে না। এমনকি ইনডোরে কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলেও তাদের পুলিশকে অবহিত করতে হবে। সেখানে পুলিশ নিরাপত্তা বিধান করবে।
তিনি বলেন, নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। এছাড়া কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। মাদক সেবনের বৈধতা ছাড়া কাউকে যেন পাঁচ তারকা হোটেলে অ্যালাও না করা হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে কোন ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
তিনি বলেন, এবার মাদক সেবন করে কেউ বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইলেই পুলিশ যেতে পারে না। তবে, সেখানে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। ককটেল বিস্ফোরণে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। বিএনপি পার্টি অফিসের সামনের সড়কও খুব ব্যস্ততম। অনেক যানবাহন সেখানে চলাচল করে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, বিএনপি পার্টি অফিস এলাকার পুরোটা যেন সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলি ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে, নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। একইভাবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদের ওইসব এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বাসস/এএসজি/এমএমবি/১৫২৭/আরজি