ঢাকা সিটিতে বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের

571

নারায়ণগঞ্জ, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে কোন বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিভিন্ন সংস্থা ও তার নিজস্ব টিম দিয়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জরিপ করেছেন। দুই সিটিতে মেয়র পদে বিজয়ী হতে পারে জনপ্রিয় এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে।”
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিমপাশের পুর্বাচল এলাকায় ভোগরা-জয়দেবপুর-মদনপুর (ঢাকা-বাইপাস) সড়কে পিপিপির আওতায় নির্মাণাধীন ছয় লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তা করা হবে। সরকার এবং সরকারি দল সিটি নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ করবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, চায়নার বেসরকারি কোম্পানি সিচুয়ান রোড এন্ড ব্রিজ গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড, শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য।
পিপিপির আওতায় ঢাকা বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ ব্যয় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ২২৩ কোটি টাকা অর্থমন্ত্রণালয় অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দিবে। জমি অধিগ্রহণ ও সার্ভিস চার্জ হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয় করবেন। বাকি টাকা পিপিপির আওতায় চুক্তিপত্রবদ্ধ বিদেশি দুইটি কোম্পানি ৩২৭৬ কোটি টাকা বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন। ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকা-বাইপাস সড়কের ৬ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেস সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবিকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এজন্য তিনি সবাইকে সড়কে চলাচলের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও মটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের হেলমেট ব্যবহারের আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। মাঝখানে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ কিছুটা মন্থর গতিতে চলছিল। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। যে কারণে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাওয়াদ আলম, এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক সবুজ উদ্দিন খান, চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জিমিং, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা নাসের হোসেন, জাহাঙ্গীর আলমসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।