বাজিস-৫ : সোনাগাজীতে খাল পুনঃ খননে সেচ সুবিধা পাবে ৫শ একর জমি

159

বাজিস-৫
ফেনী-খাল পনঃখনন
সোনাগাজীতে খাল পুনঃ খননে সেচ সুবিধা পাবে ৫শ একর জমি
ফেনী, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জেলার সোনাগাজীতে ৫শ একর আবাদি জমি খাল পুনঃখননের ফলে সেচ সুবিধার আওতায় আসছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ নূরনবী এ তথ্য জানান। বুধবার হতে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মসজিদ খাল পুনঃ খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্প পরিচালক জানান, ৬০ দিনের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ৪ কিমি খাল পুনঃখননের কাজ শেষ হবে।
স্থানীয়ভাবে জিন্নাত আলী মসজিদ খাল নামে পরিচিত এ খালটি ফেনী উপকূলে বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন ধান গবেষণা কেন্দ্রের পূর্ব দিক হতে শুরু হয়ে উপজেলার নদীভাঙ্গা বাজারে এসে শেষ হয়েছে। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটি উপজেলার ৬ নং চরচান্দিয়া ও ৭নং সোনাগাজী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, ৪ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের ফলে মিঠা পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। সেচ মৌসুমে কৃষক উপকৃত হবে। তিনি বলেন, জোয়ারের ফলে কৃষি জমিতে লোনা পানি ঢুকে কৃষি জমি ও ফসলের ক্ষতি হত। লবণাক্ত পানির কারণে মৎস্য চাষীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হত। খননের ফলে সমস্যাগুলো দূরীভূত হবে।
তিনি আরও জানান, খালের একপাশে ৮ ফুট উঁচু ও ১০ ফুট চওড়া চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে এলাকার কৃষক এবং মৎসজীবীরা যাতায়াত সুবিধা ভোগ করবে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে খালের উৎস প্রান্তে স্লুইসগেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি নির্মিত হলে লোনা পানি প্রবেশ রোধ ও মিঠা পানি সংরক্ষণের ফলে চরচান্দিয়া ও সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মৎস চাষীরাও উপকৃত হবে।
প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ নূরনবী জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষকরা লাভবান হবে, আমন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সেচ মৌসুমে নোয়াখালীর মুছাপুর ক্লোজার হতে লো লিড পাম্পের (এলএলপি) মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও খালের পাড়ে গাছ লাগিয়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হলে উপকূলীয় এলাকায় দুূর্যোগ প্রশমনেও ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসির) তথ্য অনুযায়ী, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতার কারণে ৪০ হাজার হেক্টর জমি এবং লবণাক্ততার কারণে আরো ৭০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। এসব জমি চাষের আওতায় আনতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চার বছর মেয়াদী ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তিন জেলায় ৪০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন এবং এর সাথে যুক্ত নানা উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৪০৫/-নূসী