বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (প্রথম কিস্তি) : চেইন অব কমান্ড সশস্ত্র বাহিনীতে লক্ষ্য অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রাখে : প্রধানমন্ত্রী

184

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-পিজিআর-ভাষণ
চেইন অব কমান্ড সশস্ত্রবাহিনীতে লক্ষ্য অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রাখে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্রবাহিনীর সর্বস্তরে চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, কার্যকরী কমান্ড চ্যানেল সশস্ত্র বাহিনীতে লক্ষ্য অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সকল স্তরের কমান্ডারদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও তাদের প্রতি অনুগত থাকলে যে কোন কাজ দক্ষতা, শৃংখলা ও নৈপুণ্যের সাথে স¤পন্ন করা সম্ভব।’
শেখ হাসিনা আজ ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
সেনা সদস্যদের শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্রবাহিনীকে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে এই বাহিনীর সদস্যদের চেইন অব কমান্ড সবসময় মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাদের অধীনস্থদের সুযোগ-সুবিধা দেখতে হবে। আবার অধীনস্থ যারা তারাও তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করবে সেটাই আমি আশা করি।’
‘কারণ, এটা যেহেতু সুশৃঙ্খল বাহিনী, কাজেই এর কমান্ড ঠিক থাকতে হবে এবং সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে চলতে হবে, তাহলেই যেন কোন লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে পারবো’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করেছি ২০২০ সালের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করবো, এই সময়ের মধ্যেই আমরা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণকে ধরে রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তাঁর শাসনামলে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটা প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পিজিআর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন স্বাগত বক্তৃতা করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পিজিআর সদর দপ্তরে পৌঁছলে রেজিমেন্টের কোয়ার্টার গার্ড-এ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকল অফিসার, জুনিয়র কমিশনন্ড অফিসারদের সঙ্গে এবং কুশলাদি বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে একটি সুসজ্জিত গার্ড রেজিমেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় নিহত, শহীদদের স্বজনদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং অনুদান হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, বীর বিক্রম ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলবে- বাসস-এএসজি-এফএন/১৭৪৫/-আরজি