বিভিন্ন জেলায় নদনদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ শুরু

544

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দেশের বিভিন্ন জেলায় আজ সোমবার নদনদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
বাসস-এর পাবনা সংবাদদাতা জানান, জেলায় আজ ইছামতি নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের নেতৃত্বে প্রশাসন ডিসি রোডের ব্রিজ থেকে অবৈধ দখলদারদের বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এসময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, পাউবো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস-এর ভোলা সংবাদদাতা জানান, জেলার সদর উপজেলায় আজ গুইংগারহাট খালের উপর থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে দখলমুক্ত অভিযান শুরু হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে খালের দখল হয়ে যাওয়া আড়াইশ মিটার এলাকা উদ্ধার করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিদুয়ানুল ইসলাম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস-এর ফেনী সংবাদদাতা জানান, জেলায় আজ নদী-খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেশব্যাপী খাল ও নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এ অভিযান পরিচালনা করে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৩৫টি পাকা এবং ৩০টি আধাপাকা ও কাঁচা স্থাপনাসহ মোট ৬৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার রাণীরহাটে কুমাড়িয়া খালে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান।এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক পিকেএম এনামুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম প্রমুখসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস-এর লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা জানান, জেলায় আজ থেকে নদী-খাল দখলমুক্ত অভিযান শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার জকসিন বাজার সংলগ্ন ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশর্^বর্তী রহমতখালী খালে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। এসময় বুলডোজার দিয়ে অবৈধ একাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করতে দেখা যায়। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
আজ প্রথম দিনের অভিযানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রশিদ, লক্ষ্মীপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমন দে উপস্থিত ছিলেন।
বাসস-এর বগুড়া সংবাদদাতা জানান, জেলা প্রশাসন ও বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর যৌথ উদ্যেগে আজ থেকে জেলায় করতোয়া নদীর অবৈধ স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে। উচ্ছেদের প্রথম দিনে ১ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। করতোয়া নদীর রেল ব্রীজের পাশ থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযানকালে জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহামদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর মালেক, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও অতিরিক্ত কমিশনার (ভূমি) আমীর হামজা প্রমুখ
বাসস-এর নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ছোট-বড় খালের পাড়ে একহাজার পাঁচশ’ একর সম্পত্তি উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত জেলা সদরের মন্নান নগর চৌরাস্তা এলাকায় তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বাসস-এর শেরপুর সংবাদদাতা জানান, জেলার নকলা উপজেলার সুতিখালী নদীতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেলের নেতৃত্বে ওই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ওইসময় এস্কেভেটর ও প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিয়ে নদীর অবৈধ দখলদারদের দেওয়া বাধ ও পুকুরের পাড় কেটে দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযানকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফায়েল আহমেদ, নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, শেরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলামসহ পুলিশ, আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস-এর বান্দরবান সংবাদদাতা জানান, জেলা শহরের বিভিন্ন নদীনালা ও খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।আজ দুপুরে বান্দরবান সদরের অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন মিচকি খালের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে এ অভিযান শুরু হয়। এসময় মিচকি খালের উপর অবৈধভাবে নির্মাণাধীন কয়েকটি স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান।