রাজাপাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ কুমিল্লার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬০ রান

166

চট্টগ্রাম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : শ্রীলংকার বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসের অপরাজিত ৯৬ রানের সুবাদে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৭তম ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬০ রান করেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। জ্বরের কারনে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। অবশেষে সুস্থ হয়ে ঢাকার দলে ফিরেছেন তিনি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। দ্বিতীয় ওভারেই কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন ঢাকার অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান। মাশরাফির করা ইনিংসের প্রথম ওভারে পরপর দু’টি বাউন্ডারি তুলে নেয় সৌম্যকে বোল্ড করেন মেহেদি। ৬ বলে ১০ রান করেন সৌম্য।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পেয়েছেন মেহেদি। তিন নম্বরে নামা সাব্বির রহমানকে শুন্য হাতে বিদায় দেন তিনি। সাত বল খেলে উইকেটের সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ছিলেন সাব্বির। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় সাব্বিরকে।
কুমিল্লার মিডল-অর্ডারের ভরসা ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান গেল চার ম্যাচে করেছেন ১৯১ রান। আজও তার কাছ থেকে বড় ইনিংসের প্রত্যাশায় ছিলো দল। কিন্তু এবার আর সম্ভব হয়নি। সাব্বিরের মত উইকেটে সেট হবার লক্ষ্যে ধীর ছিলেন মালান। ১৬ বল খেলে উইকেটে সেট হলেও, ১৭তম বলে পাকিস্তানের স্পিনার শাদাব খানের বলে আউট হন তিনি। ৯ রান করেন মালান।
৯ দশমিক ৩ ওভারে দলীয় ৫৭ রানে তিন ব্য্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এ অবস্থা থেকে বের হবার পথ খুঁজছিলো তারা। দলের প্রয়োজনীয় সময় এবার জ্বলে উঠেন ওপেনার শ্রীলংকার ভানুকা রাজাপাকসে। কুমিল্লার চার ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন রাজাপাকসে। করেছিলেন মাত্র ৮২ রান। তাই বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কুমিল্লাকে কিছু দেয়ার তাগাদা ছিলো রাজাপাকসের। এজন্য ইয়াসির আলিকে নিয়ে ঢাকার বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তিনি।
৪১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর মারমুখী হন রাজাপাকসে। চার-ছক্কায় কুমিল্লার স্কোর বোর্ডকে শক্তিশালী করতে থাকেন তিনি। তাকে স্ট্রাইক দিয়ে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইয়াসির। তাই ৬৫ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন রাজাপাকসে। হাফ-সেঞ্চুরির পর, পরের ২৩ বলে ৪৬ রান তুলে রাজাপাকসে। এছাড়া ২টি চারে ২৭ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন ইয়াসির। ফলে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেই জাতীয় দলের জন্য বাংলাদেশ ছাড়বেন রাজাপাকসে।
ঢাকার মেহেদি ৪ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১৬০/৩, ২০ ওভার (রাজাপাকসে ৯৬*, ইয়াসির ৩০*, মেহেদি ২/৯)।