বাসস দেশ-২০ : সরকার ডেঙ্গুর প্রকোপের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে : তাজুল ইসলাম

127

বাসস দেশ-২০
তাজুল-ডেঙ্গু-প্রতিরোধ
সরকার ডেঙ্গুর প্রকোপের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে : তাজুল ইসলাম
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সবমায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চলতি বছরের মতো আগামী বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পরে সরকার সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) কে আহবায়ক করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আজ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশা ও ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ বিস্তাররোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্ত:মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কীটতত্ত্ববিদসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ববিদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন,তারা একটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কিভাবে উন্নত করা যায়, কি করে সারা দেশে মশক নিধন বা ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য পরামর্শ দেবে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করবে।
তাজুল বলেন, উন্নত বিশ্ব মশা নিধনে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হচ্ছে। কারণ কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হয়। এজন্য মশা মারতে গিয়ে যেন পরিবেশ নষ্ট না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। তাই এমন একটি উপায় আমাদের বের করতে হবে, যাতে মশা কমে এবং পরিবেশ বাঁচে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১, এসডিজি অর্জনে মশা ও অন্যান্য ক্ষতিকর কীটমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, এজন্য পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, মশাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ (বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল), কার্যকর ও পরিবেশ বান্ধব কীটনাশক প্রয়োগ, নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বছর জুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধমুলক কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরী।
বাসস/সবি/এমএএস/১৮২৫/অমি