এমবাপের দিকেই সকল দৃষ্টি থাকবে উরুগুয়ের

293

ঢাকা, ৫ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শুক্রবার ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। এই ম্যাচকে সামনে রেখে ফ্রান্সের তরুন সেনসেশন কাইলিয়ান এমবাপেকে রুখে দেবার ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখিয়েছেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ। দলের এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দিয়েগো লাক্সলাটও জানিয়েছেন এমবাপেকে দেখার জন্য উরুগুয়ের যথেষ্ট শক্তিশালী রক্ষণভাগ রয়েছে।
তরুন এমবাপের পারপরফেন্সের কারণেই ফ্রান্সের আক্রমনভাগকে এই ম্যাচে এগিয়ে রাখা হয়েছে। আর একইসাথে ওস্কার তাবারেজের উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সকেই ফেবারিট মানা হচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের বিপক্ষে শেষ আটবারের মোকাবেলায় উরুগুয়ে মাত্র একটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৬ ইউরো ফাইনালিস্টরা দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নয়টি ম্যাচে অপরাজিত আছে। এর মধ্যে সাতটিতে কোন গোল হজম করেনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ১৬’র ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-৩ গোলের জয়ী ম্যাচের অভিজ্ঞতা পুরো দলকে আরো বেশী উজ্জীবিত করে তুলেছে।
নিজনি নোভগ্রাদে দক্ষিণ আমেরিকান দলটির অনুশীলন ক্যাম্পে গণমাধ্যমের সামনে সুযারেজ বলেছেন ফ্রান্সকে আটকানোর জন্য দলের রক্ষণভাগের ওপর তার আস্থা আছে। এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মাত্র একটি গোল হজম করেছে উরুগুয়ে। বার্সেলোনার এই স্ট্রাইকার বলেন, ‘সবাই জানে এমবাপে একজন ভাল খেলোয়াড়। কিন্তু আমি মনে করি তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের দুর্দান্ত একটি রক্ষণভাগ আছে।’
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফ্রান্সের শেষ ১৬’র উত্তেজনাকর লড়াইয়ে ১৯ বছর বয়সী এমবাপে ছিলেন জয়ের নায়ক। এই ম্যাচে দুই গোল করেন প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইর এই তরুন তুর্কি। তার গতি ও দক্ষতার কারণে আদায় করা পেনাল্টি থেকে ফ্রান্স ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল।
যদিও সুয়ারেজ বলেছেন শুধুমাত্র এমবাপে না ফ্রান্সের পক্ষ থেকে তাদের জন্য আরো হুমকি অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে এন্টোনিও গ্রিজম্যানের বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
এই ম্যাচে অবশ্য উরুগুয়ের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানির ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। পর্তুগালের বিপক্ষে তিনি পেশীর ইনজুরিতে পড়েছিলেন। টানা সাত ম্যাচে জয়ের অভিজ্ঞতাই তাদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচগুলোতে মাত্র এক গোল হজম করেছে উরুগুয়ে। আর সে কারনেই লাক্সলাট মনে করেন ফ্রান্সের বিপক্ষেও সেই ডিফেন্সিভ দৃঢ়তা দল বজায় রাখবে। লাক্সলাট বলেন, ‘রক্ষনভাগের পাশাপাশি আমরা আক্রমনভাগেও নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবো। পর্তুগালের বিপক্ষে আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম সেটাই এখানে করে দেখাবো। অবশ্যই এমবাপেকে যতটা সম্ভব কম জায়গা দেবার লক্ষ্য থাকবে।
এদিকে ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতৌদি আশা করতেই পারেন তার পিএসজি সতীর্থ কাভানি যেন সময়মত সুস্থ হয়ে উঠতে না পারেন। যদিও তিনি মনে করেন কাভানি না থাকলেও উরুগুয়েকে হালকা করে দেখার কোন কারন নেই। হলুদ কার্ডের কারণে শুক্রবারের ম্যাচে খেলতে পারবে না মাতৌদি। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাতৌদি বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমি এডিনসনকে চিনি। সে এমন একজন খেলোয়াড় যে সহজে হার মানার নয়। মাঠে নামার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সে নিজের শক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। অবশ্যই কাভানিকে ছাড়া উরুগুয়ের শক্তি একই থাকবেনা। আমরা সবাই তার দক্ষতা সম্পর্কে জানি। বিশ্বকাপেও সে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছে। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না দলের অন্যরাও ভাল।
২০১০ সালের পরে বিশ্বকাপে এটাই কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের প্রথম ম্যাচ। এদিকে ফ্রান্স গত পাঁচটি আসরে চারটিতেই শেষ আটে খেলেছে। ২০১৪ সালে শুধুমাত্র জার্মানীর কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে শেষ ১৬’ থেকে বিদায় নিয়েছিল।