বাসস ক্রীড়া-১৩ : ওয়ালটন-ইমরুলের ঝড়ে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের পাহাড় চট্টগ্রামের

223

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু বিপিএল
ওয়ালটন-ইমরুলের ঝড়ে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের পাহাড় চট্টগ্রামের
চট্টগ্রাম, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৪তম ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের পাহাড় গড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ওয়ালটন ২৭ বলে অপরাজিত ৭১ ও ইমরুল ৬২ রান করেন।
নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে স্বাগতিক দলের পক্ষে টস করতে নামেন ইমরুল। চট্টগ্রাম পর্বে তার খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়ায়। আজও মাহমুদুল্লাহকে ছাড়া খেলতে নামতে হয় চট্টগ্রামকে। একই ইনজুরির কারনে প্রথম দু’ম্যাচেও মাহমুদুল্লাহকে পায়নি চট্টগ্রাম।
তবে এ ম্যাচে ইমরুলের বিপক্ষে টস ভাগ্যে জিতেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক শ্রীলংকার দাসুন শানাকা। প্রথমে চট্টগ্রামকে ব্যাটিং-এ পাঠান শানাকা। দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ওপেনার লেন্ডন সিমন্স ৭ বলে ২টি চারে ১০ রান করে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানের বলে কাটা পড়েন।
এরপর আরেক ওপেনার শ্রীলংকার আবিস্কা ফার্নান্দোকে নিয়ে মাত্র ৪৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ইমরুল। এর মধ্যে ২০ বলে ৩৮ রান ছিলো ফার্নান্দোর। আর ইমরুলের ছিলো ২৯ বলে ৪৪ রান। বিধ্বংসী রুপে থাকা ফার্নান্দো-ইমরুলের জুটি ভাঙ্গেন কুমিল্লার সৌম্য। ৩টি করে চার-ছক্কায় ২৭ বলে ৪৮ রান করে সৌম্যর বলে আউট হন ফার্নান্দো।
ফার্নান্দো ব্যর্র্থ হলেও, হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ইমরুল। ৩৪তম বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৬২ রানে আউট হন ইমরুল। ৪১ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা হাকিয়ে শানাকার শিকার হন তিনি। ইমরুলের বিদায়ে উইকেটে গিয়ে নিজের ব্যর্থতা অব্যাহত রাখেন নাসির। ৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
ইনিংসের ৩৪ বল বাকী থাকতে দলীয় ১৩৯ রানে নাসিরের বিদায় ঘটে। এরপর জুটি বাঁধেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ালটন ও উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। শেষ ৩৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯৯ রান যোগ করেন তারা। জুটিতে ওয়ালটন ১৯ বলে ৬০ ও নুরুল ১৫ বলে ২৯ রান করেন। ১৬ থেকে ২০ ওভার পর্যন্ত ওয়ালটন-নুরুলের রান ছিল যথাক্রমে ১০, ১০, ১৮, ২৯ ও ২৫। শানাকার ওভারে ১৮, সৌম্যর ওভারে ২৯ ও আবু হায়দারের ওভারে ২৫ রান নেন তারা। ফলে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের পাহাড় গড়ে চট্টগ্রাম। বড় স্কোর গড়ে আক্ষেপ থাকলো চট্টগ্রামের। মাত্র ২ রানের জন্য বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়তে পারলো না তারা। বিপিএলের ইতিহাসে গেল আসরে ৪ উইকেটে ২৩৯ রানের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিলো রংপুর রাইডার্স। এবারের আসরে আগের ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২২১ রান করেছিলো চট্টগ্রাম। আজ নিজেদের রেকর্ড ভেঙ্গে চলতি আসরে সর্বোচ্চ দলীয় রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রামই।
২৭ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ওয়ালটন অপরাজিত ৭১ রান করেন এবং ১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ২৯ রান করেন নুরুল। কুমিল্লার সৌম্য ৪৪ রানে ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ২৩৮/৪, ২০ ওভার (ওয়ালটন ৭১*, ইমরুল ৬২, সৌম্য ২/৪৪)।
বাসস/এএসজি/এএমটি/২১২৫/-স্বব