ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস): অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মহাসড়কে যানজট কমাতে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় টোল পদ্ধতি চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘টোল আদায়ের নামে গাড়ি আটকে সময় নষ্ট ও যানজট তৈরি করা যাবে না। টোল সিস্টেমকে সম্পূর্ণরুপে স্বয়ংক্রিয় করতে হবে। নামকা হস্তে বা অর্ধেক করলাম, অর্ধেক করলাম না তা হবে না। প্রতিটি গাড়ির জন্য প্রিপেইড মিটারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দিষ্ট সীমা পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পরিশোধ হবে। তাহলে টোল প্লাজায় কোন যানজট তৈরি হবে না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে ‘মহাসড়কের জীবনকাল: চ্যালেঞ্চ ও করণীয়’
বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ,সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, সড়ক সংস্কার সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়,টোলের টাকা দিয়েই সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। কামাল বলেন, টেকসই সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনে বিদেশি দক্ষ ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সড়কের উন্নয়ন অতীব জরুরী,তাই এ বিষয়ে আমাদের আন্তরিক হওয়ার প্রয়োজন এবং ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে গিয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন,অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিবেচনা করে নতুন প্রকল্প নিতে হবে। চলমান প্রকল্প টেকসই বাস্তবায়নের বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। অর্থাৎ গুনগত মান বাড়ানো জরুরী। সরকার চাই দক্ষ প্রতিষ্ঠান কাজ পাক। তাহলে মানসম্মত কাজ পাওয়া যাবে।
তিনি মনে করেন একই কোম্পানীকে একাধিক কাজ না দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর মধ্যে দিলে কাজের মান ভাল হবে। কোন কোম্পানী কাজ নিয়ে গাফিলতি করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন,এ অঞ্চলে সিঙ্গাপুর সবচেয়ে ভাল সড়ক তৈরি করেছে। আমরা তাদের সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারি। তিনি মনে করেন,তেলের পরিবর্তে যদি পরিবহনখাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়নো যায়, তাহলে বছরে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সঞ্চয় হবে।