বাসস দেশ-২৬ : ডাক্টিং ব্যবস্থা ছাড়া নতুন কোন ওয়ার্ড বা শহরের অনুমোদন দেয়া হবে না : তাজুল ইসলাম

93

বাসস দেশ-২৬
তাজুল- ধূলা-সভা
ডাক্টিং ব্যবস্থা ছাড়া নতুন কোন ওয়ার্ড বা শহরের অনুমোদন দেয়া হবে না : তাজুল ইসলাম
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, ডাক্টিং ব্যবস্থা ছাড়া ঢাকা সিটির কোন নতুন ওয়ার্ড এবং অন্য নতুন কোন শহরের অনুমোদন দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশে নতুন করে যে সমস্ত শহর করা হচ্ছে বা ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনগুলোর কোন নতুন ওয়ার্ডে ডাক্টিং সিস্টেম ছাড়া অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নতুন কয়েকটি ওয়ার্ড অনুমোদন দেয়া হয়নি, তবে রাজধানীতে এই সিস্টেম চালুর কোন নির্ধারিত সময়সীমা বেধে দেয়া সম্ভব নয়।’
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, রাজধানীর সকল সড়কে ডাক্টিং সিস্টেম নতুন করে করা খুবই টাফ এবং চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কারণ এ সিস্টেম চালু করতে হলে রাস্তার এক পাশে বা দু’পাশে ইউটিলিটি ডাক্টিং অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে এবং নতুন করে ডিজাইন করতে হবে। ধাপে ধাপে এই সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
তাজুল ইসলাম আজ দুপুরে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার মিলনায়তনে রাজধানীর বায়ু দূষণ রোধে করনীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঢাকা মহানগরীর বায়ু দূষণ রোধে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে সড়ক খননের কারণে যাতে বাতাসে ধূলিকনার মিশ্রন না ঘটে, সে লক্ষ্যে প্রত্যেক খননকারী সংস্থাকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কার্যাদেশে শর্ত প্রদান করতে হবে।
সড়ক খনন পরবর্তী উন্নয়ন কাজ সমাপ্তির পর ঠিকাদার কর্তৃক সড়ক সমুহ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তা না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পর্যাপ্ত সুইপিং ট্রাক ক্রয় করতে হবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে সড়ক ঝাড়– দেয়ার পাশাপাশি সুইপিং ট্রাকের মাধ্যমে সড়কগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
নির্মাণাধীন ভবনের ক্ষেত্রে সকল কমপ্লায়েন্স যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা, তা কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য রাজউককে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্মাণকারী কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সড়কের পাশে বা উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ু দূষণ বা সড়ক নোংরা করার অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সরকারী ভবনসমুহ নির্মাণের ক্ষেত্রেও কমপ্লায়েন্স যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা, তা গণপূর্ত অধিদফতরকে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে বালু, মাটি উন্মুক্তভাবে পরিবহন নিষিদ্ধ করতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে সিটি কর্পোরেশনগুলোকে প্রতিদিন দু’বার নগরীর সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মহানগরীর ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা, অস্থায়ী ব্যবসা থাকায় ফুটপাতগুলোকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হয় না।ফুটপাতগুলো সম্পূর্ণভাবে দখলমুক্ত হওয়া প্রয়োজন। বায়ু দূষণরোধে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)কে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে বৈঠকে জানান মন্ত্রী।
বাসস/এএসজি/এমএএস/১৮১২/অমি