বাজিস-১ : ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব, কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় বই পৌঁছে গেছে

239

বাজিস-১
কুমিল্লা-পাঠ্যপুস্তক দিবস
১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব, কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় বই পৌঁছে গেছে
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষের শুরুতে পাঠ্যবই হাতে পেত না এক দশক আগেও। বই পেতে কখনও কখনও তিন থেকে চার মাস লেগে যেত তাদের। তবু শিশুদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাত না। পাল্টে গেছে সেই চিত্র। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিশুরা এখন শিক্ষা বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যবই হাতে পায়। এ বছরের চিত্র আরও আশাব্যঞ্জক। এবার প্রায় এক মাস আগেই ছাপা হয়ে গেছে বিনামূল্যের বই। পৌঁছে গেছে তা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের হাতে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান বলেন, আসলে বই-ই এখন অপেক্ষা করছে শিশুদের জন্য!
এটাই বাস্তবতা- বলছিলেন শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান । তিনি বলেন, বই বিলম্বে পাওয়ার দিন এখন অতীত। আগেভাগে ছাপা হয়ে উপজেলার গোডাউন ও স্কুলগুলোতে গিয়ে এখন বই-ই শিশুদের অপেক্ষায় থাকে। আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা ও মুদ্রণ শিল্প মালিকদের সহযোগিতায় এ বিশাল কর্মযজ্ঞ যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
আগামী ১ জানুয়ারি কুমিল্লাসহ সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূল বইয়ের শতভাগই তারা নিজ নিজ এলাকায় বুঝে পেয়েছেন। কোথাও কোথাও সহপাঠ, বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজি গ্রামার-এ ধরনের দু’একটি বই বাকি আছে। সেগুলোও আগামী দু’একদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। দাউদকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, সব বই-ই ছাপা হয়ে ঢাকা থেকে চলে এসেছে। বই বুঝে পেয়েছি। এসব বই উপজেলাগুলোতে বিতরণের কাজও শেষ। এখন আমরা পাঠ্যপুস্তক উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছি। চান্দিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগর ও ইবতেদায়ি সবই পেয়েছি। বই নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। নেই কোনো শঙ্কাও।
বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ধারাবাহিক সাফল্য হিসেবে নতুন বছরের শুরুতেই সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে। চলতি ২০১৯ সাল বই বিনামূল্যে বিতরণ করার সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতি বছর সরকারের বিশাল এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে, যা দেশে সুনাম বয়ে এনেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১০৩০/-নূসী