বাসস দেশ-২৪ : ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত তিন প্রতারক গ্রেফতার

139

বাসস দেশ-২৪
প্রতারক-গ্রেফতার
ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত তিন প্রতারক গ্রেফতার
চট্টগ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম নগর শাখা । ওই প্রতারকরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো।
পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন আজ বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্য হচ্ছে- ঝালকাঠির বড় কৈবর্তখালীর রিপন সিকদার (৩০), ফেনী দক্ষিণ গুখুমা এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪৫) এবং নারায়নগঞ্জ চর তালিমাবাদের তোফাজ্জল হোসেন।
পিবিআই কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন জানান, এ অপরাধে যুক্ত রিপন সিকদারকে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অপর দু’জনের নাম উঠে আসে। অবশেষে গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঠানটুলীর হোটেল পূরবী থেকে আনোয়ার ও তোফাজ্জলকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে ভুয়া নিয়োগপত্র, প্রবেশপত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, পেনড্রাইভ, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পাওয়া যায়।
পিবিআই’র পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বাসসকে জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাস্টমসের একটি ভুয়া নিয়োগপত্রের বিষয়ে কাস্টমস কমিশনার একটি পত্র দিয়েছিলেন এনবিআরে।
এর আগে ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম, আবদুল গফুর ও মিলন চক্রবর্তী নামে তিন ব্যক্তি। কাস্টম হাউজে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা।
তারা জানিয়েছেন, এই প্রতারক চক্রকে প্রত্যেকে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা করে দিয়েছেন । এসময় তারা প্রতারক আনোয়ারের নামে একটি অভিযোগ দেন। পরে এনবিআর থেকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে বলা হয়।
সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, আটক প্রতারকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের পেনড্রাইভের তথ্য থেকে আমরা জানতে পেরেছি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেয়ার নামে চক্রটি ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো।
ওই প্রতারকরা বিভিন্ন পদের বিপরীতে নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রবেশপত্র সরবরাহ করতো এবং প্রশ্ন বানিয়ে হোটেলে এনে পরীক্ষা নিতো। টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকুরিপ্রার্থীদের হাতে তুলে দিতো ভুয়া নিয়োগপত্র।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জন তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে বিপুল অর্থ খুইয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
বাসস/কেএস/এমএমবি/১৯২০/এএএ