বাসস দেশ-১৭ : পরিবেশ দূষণকারীদের জরিমানার আওতায় আনা হবে : মেয়র আতিকুল ইসলাম

114

বাসস দেশ-১৭
দূষণ-জরিমানা
পরিবেশ দূষণকারীদের জরিমানার আওতায় আনা হবে : মেয়র আতিকুল ইসলাম
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীতে পরিবেশ দূষণকারীদের জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বক্তব্য আর ভালোবাসার দিন শেষ। এখন দূষণ করলেই জরিমানা গুণতে হবে যে কাউকে।’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘অনিয়ন্ত্রিত দূষণে ঢাকা : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা সড়কে ইট, বালু, পাথর, সিমেন্ট রেখে পরিবেশ দূষণ করবেন, যারা ব্যবসা পরিচালনা করবেন, তাদের বলতে চাই, বক্তব্য দেয়া, ভালোবাসার দিন শেষ। এখন থেকে যারাই পরিবেশ দূষণ করবেন, জরিমানা গুণতে হবে। অভিযান পরিচালনা করার জন্য আমরা সরকারের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে। যা নিয়ম মাফিক চলবে।
তিনি বলেন, যে কোন উন্নয়ন কাজ, নির্মাণ কাজ এবং ব্যবসা করতে হলে কমপ্লায়েন্স মেনে করতে হবে। অন্যথায় জরিমানার আওতায় আনা হবে।
প্লাস্টিকের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও দূষণ রোধে মেয়র বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ এবং হুশিয়ারি। একটা পদ্ধতি বের করুন যেন প্লাস্টিকের বোতলটি ফেরত দিলে তাকে ‘পে’ করা হয়। রাস্তায় অথব্য অন্য কোথাও যদি প্লাস্টিক পাই তাহলে কিন্তু সেই কোম্পানিকে আমি জরিমানা করবো।
রাজউক, ওয়াসাসহ সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদারদের উদ্দেশে মেয়র তিনি বলেন, আপনারা যারা রাস্তা খোঁড়ার কাজ করছেন, তারা অবশ্যই কমপ্লায়েন্সের মাধ্যমে কাজ করুন। অন্যথায় জরিমানা গুণতে হবে। এনিয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও শহর বাঁচাতে এগিয়ে যেতে হবে। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক আমাদের তেমনটাই দেখিয়ে গেছেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা সচেতন হতে হবে, পরিবেশ দূষণ রোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
ডুরার সভাপতি মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্থপতি ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
বাসস/এমএসএইচ/১৮১৫/-এসই