বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

212

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর ,২০১৯ ( বাসস ) :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য প্রবাসীরর নিজ নিজ অবস্থান হতে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবেন। ”
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন,‘অভিবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার বিশ্বময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমাদের সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দু-ই মেলে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৯ পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বিশ্বের সকল অভিবাসী ও তাঁদের পরিবারবর্গকে শুভেচ্ছা জানান। একইসঙ্গে দেশে বিদেশে অভিবাসীদের কল্যাণে নিবেদিত সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে জানান আন্তরিক অভিনন্দন।
শেখ হাসিনা বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের অপরিসীম গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার এ খাতকে ‘থার্স্ট সেক্টর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। নির্বাচনি ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতি উপজেলা হতে গড়ে ১ হাজার জন যুব/যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন দেশে আরো প্রশিক্ষিত কর্মী প্রেরণ ও তাঁদের শ্রমলব্ধ আয়ের লাভজনক বিনিয়োগ এবং বিদেশে গমনকালে সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি ও বিদেশ থেকে ফেরার পর স্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ প্রদান সুনিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত রেমিট্যান্স এর ওপর ২ভাগ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ০৯ দশমিক৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৬দশমিক ৪২ বিলিয়নস মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে বিদেশ থেকেই জন্ম নিবন্ধন করা, ভোটার তালিকাভুক্ত করা, ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট প্রদান ইত্যাদি কাজ শুরু হয়েছে। প্রবাসীদের কল্যাণার্থে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাঁদের জন্য বীমা স্কিম চালুর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অভিবাসন ব্যয় হ্রাস করতে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সেন্ট্রাল ডাটাবেইজ তৈরি, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সার্বিক অটোমেশন এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটালাইজড সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অভিবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমাদের সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কমনা করেন।