বাসস দেশ-৩০ : অসম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন এবং ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান

119

বাসস দেশ-৩০
বিজয় দিবস-আলোচনা
অসম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন এবং ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন,অসম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন এবং ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
তারা বলেন, স্বাধীনতার এতোবছর পরও বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, অশিক্ষা, বৈষম্য থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে এসব থেকে মুক্ত হতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ বিএসএমএমইউয়ে ৪৯তম মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লকের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন,বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন,আজও আমরা মুক্তির সংগ্রামে সফল হতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, অশিক্ষা, বৈষম্য থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি। এখনও সমাজে মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচারকে সম্পূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি।
তিনি বলেন, এ জন্যই আমাদেরকে মুক্তির সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে।তবে মুক্তির যুদ্ধ শেষ হয়নি। মুক্তির যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং যা আজও চলমান রয়েছে।
বিজয় দিবসের অর্জনকে সফল করতে হলে সমগ্র বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে সকাল ১১টায় শিশুদের অংশগ্রহণে এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।
এতে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন,চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান,বিএসএমএমইউয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডা:মো:শহীদুল্লাহ।
উপাচার্য বলেন,সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত ও বিকশিত হয়ে থাকে।সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতি চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সংস্কৃতি চর্চার সাথে সাথে খেলাধুলার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুরা যাতে দিবসটির ইতিহাস ও তাৎপর্য সর্ম্পকে অবহিত হওয়ার সাথে সাথে তাদের মননে ঐতিহাসিক এই বিজয়কে ধারণ করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে।
বাসস/সবি/এসএস/১৮৪০/-অমি