অপরাধের ধরন অনুযায়ী রাজাকারদের বিচার হবে: আইনমন্ত্রী

220

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আইন বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা দেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অপরাধের ধরন অনুযায়ী তাদের বিচার করবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদবের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকা এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাচাই-বাছাই করে দেখবে। তারা তদন্ত করে তাদের অপরাধের যদি প্রমাণ পায় তাহলে অবশ্যই তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। সেখানে অপরাধের ধরন অনুযায়ী রাজাকারদের বিচার হবে।’
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের যে তদন্তকারী সংস্থাটি রয়েছে, তারা দেখবে যে কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচার করা উচিত। তারা যদি তালিকায় থাকা রাজাকারদের বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধের প্রমাণ পায় নিশ্চয় তাদের বিচার হবে।
দীর্ঘদিন পর রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ইতিহাসে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া ভালো। নতুন প্রজন্ম এবং সবার সত্য ইতিহাসটা জানা উচিত। আমরা স্বাধীন হয়েছি কীভাবে, আমাদের স্বাধীনতা পর্যন্ত এনেছেন যিনি সে জাতির পিতার কথাও কিন্তু আমরা এক সময় বলতে দ্বিধাবোধ করেছি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় সেটার অবসান হওয়া উচিত। এসব রাজাকারের তালিকা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে একটি সুন্দর শক্তিশালী এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।
বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয়ে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ভূটান এবং নেপালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ পরিবহন আরও সহজীকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং মোংলা পোর্ট মালামাল পারাপারের জন্য নেপাল ব্যবহার করতে পারবে সে বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলাচনা ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।
নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সরকারের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এ সম্পর্ক দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে। আজ বিচার ও আইন বিষয়ে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সহযোগিতা প্রয়োজন হলে করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে নেপালে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে উভয় দেশের জনগণ লাভবান হবে।