বাসস দেশ-৩৭ : খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি : এটর্নি জেনারেল

277

বাসস দেশ-৩৭
এজি-ব্রিফ
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি : এটর্নি জেনারেল
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস): এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোন অবনতি হয়নি। যে রকম ছিল, সে রকমই আছে।
আপিলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ আদেশের পর তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার মাহবুবে আলম এ কথা বলেন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে সাত বছর কারাদন্ড দিয়েছেন নিম্ন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল ফাইল করেছেন। সে আপিলে তিনি জামিন চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগ সে জামিন আবেদন নাকচ করেছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে তার পক্ষে একটি লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল আপিল বিভাগে। সেখানে জামিন চাওয়া হয়েছিল। আদালত তার আইনজীবী, রাষ্ট্রপক্ষ এবং দুদকের আইনজীবীদের যুক্ত উপস্থাপনের পর আজ জামিন আবেদন খারিজ করেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট যেটা দাখিল করা হয়েছে সেটা আদালতে পড়ে শুনানো হয়েছে। তাতে আমরা দেখিয়েছি, আসলে তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোন অবনতি হয়নি। যে রকম ছিল, সে রকই আছে।
সর্বশেষ রিপোর্টে কি বলা আছে জানতে চাইলে এটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু শারীরিক সমস্যা ভালো হওয়ার মত নেই। আগে তার শরীরে অপারেশন হয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে এটার অ্যাডভান্স (উন্নত) চিকিৎসা নিতে হয়। কতগুলো বিশেষ ধরনের ইনজেকশন আছে, সেই ইনজেকশন দেয়ার ব্যাপারে তার অনুমতি না পাওয়া গেলে তা দেয়া যাবে না। উনি (খালেদা জিয়া) অনুমতি দিচ্ছেন না। আদালত বলেছেন, উনি যদি অনুমতি দেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সে ব্যবস্থা করবেন।
মাহবুবে আলম বলেন, সর্ব সম্মতিক্রমেই আজকে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, “আমি শুনানিতে বলেছি, এর আগে একটি মামলায় ওনাকে ১০ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। চ্যারিটেবল মামলায় সাত বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মোট তাকে ১৭ বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। কাজেই এটাকে বলা যাবে না-এটা শর্ট সেন্টেন্স। সুতরাং এখানে তিনি জামিন পেতে পারেন না।”
মাহবুবে আলম জানান, চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার থেকে সর্বাত্মক সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে বঙ্গবন্ধু প্রিজন সেলে রাখার কথা কিন্তু তাকে ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়েছে। ওনাকে সেবা দান করার জন্য একজন সেবিকা দেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওনাকে দেখভাল করছেন। কিন্তু ওনার অনুমতি না হলে উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না।
আজকের মেডিকেল রিপোর্টটিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমি তিনটা রিপোর্ট আদালতের সম্মুখে পেশ করেছি। একটা ২০১৮ সালের, একটা ২০১৯ সালের আর একটা হলো গতকালের। তিনটা রিপোর্টেরই সমস্ত বক্তব্য, রোগের বর্ণনা, শারীরিক অবস্থার বর্ণনা একই রকম।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৯০৭/কেএআর